করোনাভাইরাস আতঙ্কে প্রায় ক্রেতাশূন্য রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমেছে বিক্রি। কিন্তু বাজারে মাছ, মাংস ও সবজির কোনো কমতি নেই। দোকানিরা নিত্যপণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন কিন্তু ক্রেতার অভাব। তাই কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সব সবজির দাম। তবে বিক্রি কমলেও বেড়েছে মাছ, মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম।
মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অঘোষিত লকডাউনে রাজধানী। সাধারণ ছুটির আওতায় প্রায় জনশূন্য ঢাকা। কাঁচাবাজারেও ক্রেতার অপেক্ষায় থাকা বিক্রেতারা জানালেন, সবজির সরবরাহ থাকলেও কমেছে দাম ও বিক্রি। দু’একজন ক্রেতা এসেছেন প্রয়োজন মেটাতে।
গত ৫ থকে ৬ মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার চড়া ছিল। গত কয়েকদিন ধরে সেই পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। যা গত ১৫ দিন আগেও ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
একজন বলেন, প্রায় জিনিসের দাম কমেছে। কাঁচা পেপে, টমেটো, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে।
আরেকজন বলেন, মালের আমদানি আছে, কিন্ত বাজারে কোনো কাস্টমার নেই। পাইকারি বাজারেও কোনো কাস্টমার নেই।
এক বিক্রেতা বলেন, মানুষ কম থাকায় যা সরবরাহ করা হয়েছে, তাই বেশি হয়ে গেছে।
ফাঁকা মাছ বাজারে সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম নেয়া হচ্ছে বাড়তি দামে।
একজন বলেন, আগের তুলনায় মাছের সরবরাহ অনেক কম। রাস্তা ঘাটে গাড়ি বন্ধ তাই মাছ সরবরাহে একটু বিঘ্ন ঘটছে। এজন্য মাছের দাম একটু চড়া।
একজন বলেন, রুই মাছ দেশিটা ৫০০ টাকা কেজি। মাংসের বাজারে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০, আর খাসির কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা।
দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা।তবে নেই তেমন কোনো বেচাকেনা।
বিবার্তা/জাহিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]