শিরোনাম
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৬, ১১:৫২
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

গত কয়েক সপ্তাহের মতো চলতি সপ্তাহেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। তবে দু’একটি পণ্যের দাম কমবেশি হতে দেখা গেছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, কাওরান বাজার, শ্যামপুর বাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার সহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ও খোঁজ নেয়ার পর বাজারের এই চিত্র উঠে এসেছে।


এ সপ্তাহে রসুন ও ডিমের দাম সামান্য কমলেও কিছুটা বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া অন্যান্য দ্রব্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।


চলতি সপ্তাহে চালের বাজারে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। মিনিকেট চাল মানভেদে কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৪০ থেকে ৪৮, পাইজাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, সাধারণ মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা দরে।


এ সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডালজাতীয় পণ্য। দেশি মসুরের ডাল ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকা, আমদানিকৃত তুরস্ক ও কানাডার বড় দানার মসুরের ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, তুরস্ক ও কানাডার মাঝারি দানার মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, অস্ট্রেলিয়ার ছোট দানার মসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডাল মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।


দাম বেড়েছে তেলের দাম। এ সপ্তাহে মানভেদে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৪ থেকে ৮৭ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৭ থেকে ১০০ টাকা, লুজ পামওয়েল ৭০ থেকে ৭২, পামওয়েল সুপার ৭২ থেকে ৭৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় লিটার প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা হারে বেড়েছে। মানভেদে আটা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৪ টাকা ও ময়দা ৩৪ থেকে ৪২ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, লবণ প্যাকেট মানভেদে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩৮ টাকা, গুড়া দুধ ডানো ৫৫০ থেকে ৫৭০, ডিপ্লোমা ৫৪০ থেকে ৫৬০, ফ্রেশ ৪২০ থেকে ৪৫০, মার্কস ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কিছুটা কমতে দেখা গেছে। ফার্মের মুরগির ডিম হালি প্রতি ৩০ থেকে ৩২ ও হাসের ডিম ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


চলতি সপ্তাহে দেশি রসুনের দাম সামান্য কমা ছাড়া অনান্য মসলার দাম আগের মতেই রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় রসুন ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা ও দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। আদা মানভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজিপ্রতি পাওয়া যাচ্ছে।


তাছাড়া হলুদ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, জিরা ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, দারুচিনি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, এলাচ ১১০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ধনে ১২০ থেকে ১৫০, তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। আলু কেজিপ্রতি ২২ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, মাঝারি সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি পিছ মাঝারি সাইজের চাল কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচাকলা হালিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, চিচিংগা ৩৫ থেকে ৪০, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া লেবুর হালি ১৮ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


চলতি সপ্তাহেও মাছের দামও আগের মতই রয়েছে। মাছের মধ্যে রুই মাছ কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কাতলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, ফার্মের কই মাছ কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মাঝারি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, ছোট সাইজের ইলিশের হালি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।


এ সপ্তাহে মাংসের বাজারে পরিবর্তন দেখা যায়নি। এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৪৩০ টাকা, খাসির মাংস ৫৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


বিবার্তা/ওরিন/নিশি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com