ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের প্রিন্টার বিকল হয়ে যাওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে তৃতীয় দিনের মত পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরের অন্যান্য কাজ এবং আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, শনিবার সকাল থেকে সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত এ পথে আমদানি বন্ধ রয়েছে।
‘তবে বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্যের চালান পেট্রাপোলে গ্রহণ করা হচ্ছে।’
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোল বন্দরে আগে হাতে কলমে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা করা হতো। এখন বন্দরে 'অটোমেশন' প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ওই কাজ অনলাইনে করা হয়।
‘পেট্রাপোল বন্দরে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত প্রিন্টার কাজ না করায় কাগজপত্রের জটিলতায় পণ্য খালাস ও বাংলাদেশে পণ্য রফতানি সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ রয়েছে।’
এদিকে আমদানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় কয়েক শত পণ্য বোঝাই ট্রাক পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘এসব পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্য ও পচনশীল পণ্যও রয়েছে। দ্রুত বাণিজ্য সচল না হলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বেন।’
তিনি বলেন, ‘পেট্রাপোল বন্দরে টেকনিশিয়ান কাজ শুরু করেছে বলে জানতে পেরেছি। মেরামত শেষ হলে এ বন্দরে আবার আমদানি-রফতানি শুরু হবে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুল হক বলেন, রবিবার থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮২টি ট্রাক পণ্য নিয়ে ভারেতে গেছে।
‘কিন্তু প্রিন্টার বিকল থাকায় পেট্রাপোল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে পারেনি। এ কারণে ট্রাকগুলো ফিরতে পারছে না।’
তবে এ পথে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মহাসিন খান জানান।
বিবার্তা/এরশাদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]