দেশে পেঁয়াজের সঙ্কট দূর করতে এস আলম গ্রুপ মিশর থেকে ৫০ হাজার টনের বড় চালান আমদানির ঋণপত্র খুলেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চালানটি বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
এর আগে, রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামে শিগগিরই মিশর থেকে পেঁয়াজ আসলে দাম স্থিতিশীল হবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।
এছাড়াও আড়াই হাজার টন করে চীন ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ। এই সব পেঁয়াজ দেশে আসলে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বড় চালানটি দেশে এসে পৌঁছাবে। পেঁয়াজের এই চালানটি আসার পর দেশের বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট থাকবে না। একইসঙ্গে পেঁয়াজের দামও কমবে। দেশের সাধারণ মানুষ যাতে সহনীয় দামে পেঁয়াজ কিনতে পারে সেই জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ।
ভারত সরকার গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটি নিজেদের বাজার সামাল দিতে এই পদক্ষেপ নেয়। এরপরই বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
তবে দেশে পেঁয়াজের সঙ্কট না থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশে এক মাসের ব্যবধানে ৩৫ টাকা দরের পেঁয়াজ দাম বেড়ে কেজি প্রতি ১২০ টাকায় পৌঁছে যায়। বেশ কিছুদিন পেঁয়াজের দাম স্থির ছিল। এখন কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এস আলম গ্রুপ ছাড়াও কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ আড়াই হাজার টন করে চীন ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খুলেছে।
বিবার্তা/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]