শিরোনাম
‘জীবনের সব সিদ্ধান্তই আমাকে কিছু না কিছু শিখিয়েছে’
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০১৯, ১৭:৩২
‘জীবনের সব সিদ্ধান্তই আমাকে কিছু না কিছু শিখিয়েছে’
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বলিউডের জনপ্রিয় হার্টথ্রব অভিনেতা হৃতিক রোশান। সেলিব্রেটিদের অন্যতম একজন তিনি। চলচ্চিত্রের একসময়কার পর্দা কাপাঁনো অভিনেতা ও পরিচালক রাকেশ রোশনের ছেলে হৃতিক বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এক দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের সর্বাধিক পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত অভিনেতাদের অন্যতম।


সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে কথা হয়েছিলো বলিউড এই অভিনেতার সঙ্গে। কিন্তু শুরুতেই শর্ত জুড়ে দেন তিনি। বলেন কঙ্গনা রানাউত বা দিদি সুনয়নাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নয়। নিজের আগামী ছবি ‘সুপার থার্টি’ নিয়ে জানিয়েছেন অনেক না জানা কথা। সাক্ষাৎকারটি বিবার্তা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো


আনন্দ কুমারের ভূমিকায় নিজেকে প্রস্তুত করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?


হৃতিক রোশান: এক কথায় এনরিচিং! ম্রুণালের (ঠাকুর) সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও ভাল। ও ব্রিলিয়ান্ট অভিনেত্রী। আনন্দ কুমারের সম্পর্কে যখন জানলাম, আমার কাছে স্ক্রিপ্ট ছিল না। স্ক্রিপ্ট হাতে আসার পরে আমি ওঁর লেখা বইও পড়ি। অনেক বার দেখা হয়েছে ওঁর সঙ্গে এবং যত বার দেখা হয়েছে শেখার মাত্রাও বেড়েছে। ওঁর সঙ্গে দেখা করার সময়গুলো মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যেত। পুরো প্রসেসটা খুব উপভোগ করেছি।


আপনাকে গ্রিক গড বলা হয়। এই ছবিতে আবার ডি-গ্ল্যাম আপনি। নিজেকে ক্যামেরায় দেখে কী মনে হল?


হৃতিক রোশান: অভিনেতা হিসেবে প্রত্যেকেরই একটা প্রসেস থাকে। চরিত্রের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য মেকআপ, কস্টিউম, ডায়লগ বলা এগুলো এক একটা ধাপ। তবে আমার কাছে জরুরি হচ্ছে ইমোশনাল কানেকশন। অভিনেতা হিসেবে চরিত্রের কাছে পৌঁছতে পারলে আমি সবচেয়ে খুশি হই।


বিহারি ভাষাটা ভাল রপ্ত করেছেন?


হৃতিক রোশান: বিহারের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় মানুষ কথা বলেন। আমি একটা নির্দিষ্ট ডায়লেক্ট বলেছি। দু’মাস লেগেছিল সেটা শিখতে। একটা মিষ্টি ব্যাপার আছে ভাষাটার মধ্যে। হয়তো আগের জন্মে আমি বিহারি ছিলাম (হাসি)!



শিক্ষাব্যবস্থায় সংরক্ষণকে আপনি কীভাবে দেখেন?


হৃতিক রোশান: হঠাৎ করে এই বিষয়ে জবাব দেওয়া সম্ভব নয় আমার পক্ষে। এর জন্য সময় লাগবে। তবে যে কোনো সমাজে ব্যালান্স রাখাটা খুব জরুরি। সংরক্ষণ যদি তা করতে পারে, তা হলে তো খুবই ভাল। কিন্তু সেটা না করতে পারলে খতিয়ে দেখা উচিত।


আপনি কেমন ছাত্র ছিলেন?


হৃতিক রোশান: খুব ভাল ছাত্র ছিলাম। কহেনে মে কেয়া যাতা হ্যায় (হাসতে হাসতে)! ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষায় আমি ভাল ফল করেছিলাম। পেয়েছিলাম ৬৮.৫ শতাংশ। কিন্তু সবাইকে বলতাম ৭০ শতাংশ।


বাবা হিসেবে আপনার দুই ছেলেকে কী শিক্ষা দেন?


হৃতিক রোশান: কয়েকটা বেসিক জিনিস বলি ওদের। আত্মনির্ভরশীল হওয়া। একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে দৃঢ় থাকা। কোনো পরিস্থিতিতেই সিদ্ধান্ত বদল না করা। ভাল চরিত্র গঠন খুব জরুরি। আর সেন্স অব হিউমার ভাল হতে হবে। দুঃসময় এলেও মুখের হাসিটা যেন বজায় থাকে।


আপনার সেরা শিক্ষক কে?


হৃতিক রোশান: জীবনের সব ভাল-মন্দ সিদ্ধান্তই আমাকে কিছু না কিছু শিখিয়েছে।


‘কৃষ ফোর’-এর এখন কী অবস্থা? কাজ এগিয়েছে?


হৃতিক রোশান: এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বাবার (রাকেশ রোশন) স্বাস্থ্য। আগে উনি ঠিক হন। তারপরে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে।


১৯৮০-এর দশকে বেশ কয়েকটি ছবিতে হৃতিক শিশুশিল্পী হিসেবে ছোটোখাটো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে রাকেশ রোশন পরিচালিত চারটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন তিনি।


আজ বলিউডে সুপ্রতিষ্ঠিত তারকা হৃতিক রোশন। অভিনয়জগতে আজকের জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেতার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আপকে দিওয়ানে’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছিল হৃতিককে। ছবিটির প্রযোজক ছিলেন হৃতিকের বাবা রাকেশ রোশন। ছবিটিতে রহিম চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন রাকেশ।


অভিনয়ের পাশাপাশি প্লেব্যাক গায়ক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন হৃতিক। ‘কাইটস’ এবং ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।


‘কহোনা পেয়ার হ্যায়’ ছবিটি হইচই ফেলে দিলেও হৃতিক অভিনীত পরবর্তী কয়েকটি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। ব্যবসাসফল না হলেও ছবিগুলোতে হৃতিকের সাবলীল অভিনয় প্রশংসিত হয় বিভিন্ন মহলে।সূত্র: আনন্দবাজার


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com