শিরোনাম
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যা বললেন ফারুক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৩
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যা বললেন ফারুক
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আবার কখনো অভিনয়ে দেখা যাবে কী না সেই প্রসঙ্গে ‘মিয়াভাই’ খ্যাত অভিনেতা বলেন, যদি ভালো গল্প পাই তবে অবশ্যই করবো। সিনেমার চরিত্র বাড়ানোর প্রচেষ্টায় শামিল হবো না। অনেকেই মৌলিক গল্প নিয়ে আসে, পরে খবর নিয়ে জানতে পারি সেটা অন্য কোনো সিনেমা বা কোথাও থেকে নেয়া। এমন গল্পে তো আর কাজ করা যায় না।


গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় বিনোদন সাংবাদিকদের মিলনমেলার আয়োজন করেন চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফারুক। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নায়ক, সংসদ সদস্য ফারুক বলেন, আমি নিজের এলাকা ঘুরেছি। পায়ে হেঁটে নিজ এলাকার মানুষের কষ্ট দেখেছি, তাদের জন্য কাজ করতে চাই। অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে এখানে। এই এলাকার নৌকা যেহেতু আমার, কাজ আমাকেই করতে হবে।


ফারুক ঢাকা-১৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, মনে রাখতে হবে শুধু সিনেমার মানুষ হিসেবে আমি সংসদে যাইনি। রাজনীতির মানুষ হিসেবে সংসদে গেছি। দল থেকে আমাকে দলের ও দেশের কাজ করার জন্য সুযোগ দেয়া হয়েছে। মানুষের কাজ করতেই এমপি হয়েছি। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জন্য কাজ করবো।


চলচ্চিত্র নিয়ে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, রাজনীতি আমার প্রাণ আর সিনেমা আমার অন্তর। দুটোর কোনোটাকেই আমি এড়াতে পারবো না। এখনো সংসদে যাইনি। সেখানকার পরিবেশ, কার্যক্রম সম্পর্কে আমি তেমন কিছু বুঝি না। সুযোগ পেলে চলচ্চিত্রের মানুষ হিসেবে চলচ্চিত্রের কথা তো বলবোই।


তিনি আরো বলেন, অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, সিনেমার জন্য আমি কী করবো। এধরনের প্রশ্ন করা ঠিক না। একজন এমপি কখনো শুধুমাত্র সিনেমার উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত হন না। তাকে এলাকার লোকজনের জন্য কাজ করতে হয়। আর আমি যেহেতু সিনেমার মানুষ, সুযোগ পেলে সিনেমার জন্য কাজ করা বা কথা বলার বিষয়টি আমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে না। আমি নিজেই সেই সুযোগ কাজে লাগাবো।


সিনেমার নানা সংকটে কীভাবে সমাধান আসতে পারে সেই প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, আমাদের সবাইকে একসাথে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এক থাকার বিকল্প নেই। সরকার এককভাবে এখানকার উন্নয়ন করতে পারবে না। আমরা সবাই মাল্টিপ্লেক্স, সিনেপ্লেক্স চাই। এখনকার পরিবেশে দর্শক হলে আনতে হলে এটা করতেই হবে। প্রযোজক যদি সিনেমা বানিয়ে টাকা ফেরত না পান তবে তিনি থাকবেন না। আর প্রযোজক না থাকলে সিনেমাও শেষ। প্রযোজক বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে সবার আগে। ভালো গল্পের দরকার, টেকনোলজির উন্নয়ন দরকার। ভালোবাসে সিনেমা দেখানোর পরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার। আজকাল তো সিনেমা দেখানোরই সুযোগ পাচ্ছেন প্রযোজকরা। হলগুলো কুক্ষিগত হয়ে আছে নানা কৌশলে। সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেউ কেউ নিজস্ব অর্থায়নে প্রজেক্টর এনেছেন। সেগুলোকে সার্বজনীন ভাবনায় ব্যবহার করতে হবে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এগুতে হবে।


চলচ্চিত্রের মানুষদের একসঙ্গে বসা জরুরি, এমনটাই দাবি করেছেন অভিনেতা থেকে এমপি হওয়া ফারুক। কিন্তু সেটা কীভাবে হবে সেই প্রশ্নের জবাবে ফারুক বলেন, এতকিছু তো আমি বলে দিতে পারি না। আমি চলচ্চিত্র পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিছু কাজ করেছি। এখনো দায়িত্বে রয়েছি। তবে এখন আরো নতুন দায়িত্ব আমার কাঁধে। যারা সিনেমার জন্য কিছু করতে চায়, সিনেমাকে বাঁচাতে চায় তারাও ভাবুক কীভাবে কী করা উচিত।


চিত্রনায়ক ফারুক সর্বশেষ আজাদী হাসানাত ফিরোজ পরিচালিত ‘ঘরের লক্ষ্মী’ সিনেমাতে অভিনয় করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ববিতা।


বিবার্তা/অভি/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com