মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য নাটক, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল আর নেই।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৮ বছর।
গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টায় হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সবাই আশায় ছিলেন ফিরে আসবেন টুটুল। কিন্তু শেষমেশ আর তার নিজগৃহে ফেরা হলো না। টুটুলের মৃত্যুতে গোটা সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃত্যুর সময় তার স্ত্রী মোবাশ্বেরা খানম পাশেই ছিলেন। সাইদুল আনাম টুটুলের বড় মেয়ে ঐশী গত সোমবার বিকেলেই দেশে ফিরেছেন। ছোট মেয়ে অমির বুধবার আমেরিকা থেকে দেশে ফেরার কথা।
এদিকে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহ উদ্দিন লাভলু জানান, আগামী ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শহীদ মিনারে টুটলের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সর্বস্তরের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে বাদ যোহর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সাইদুল আনাম টুটুল পরিচালিত প্রথম সিনেমা ছিলো ‘আঁধিয়ার’। ১৭ বছর পর তিনি ‘কালবেলা’ নামক একটি সিনেমা নির্মাণ করছিলেন। এরইমধ্যে দুই লটের কাজে সিনেমার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিলো। ১৭ ডিসেম্বর থেকে সিনেমাটির সম্পাদনার কাজ শুরু করার কথা ছিলো। শেষ লটের কাজ হবার কথা ছিলো রাজশাহীতে। কিন্তু তার আগেই তিনি পরপারে চলে গেলেন। ‘কালবেলা’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহমিনা অথৈ।
সাইদুল আনাম টুটুলের মরদহে এখন রাজধানীর শান্তিনগরে তার বাসায় আছে। এরপর বারডেম হিমাগারে রাখা হয়। বুধবার সারাদিন বারডেমেই থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় আবারো মরদেহ বাসায় আনা হবে। এরপর সাড়ে ১০টায় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হবে।
সাইদুল আনাম টুটুল মুক্তিযুদ্ধে আট নম্বর সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি মুস্তাফা মনোয়ারের সাংস্কৃতিক দলের সক্রিয় সদস্যও ছিলেন।
বিবার্তা/অভি/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]