শিরোনাম
কেন এত জনপ্রিয় ‘সিআইডি’ সিরিজ?
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:২৫
কেন এত জনপ্রিয় ‘সিআইডি’ সিরিজ?
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘সিআইডি’। ভারতের মধ্যে এটি সবচেয়ে লম্বা টিভি সিরিজ এটি। ৯৭ সালে শুরু হওয়া সিআইডির, গত ১২ নভেম্বর এক হাজার চারশো তিয়াত্তরতম এপিসোডের শুটিং হয়েছে।


অপরাধ বিষয়ক এই শো টি সম্প্রতি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে সেটা স্থায়ীভাবে নয়, আপাতত সাময়িকভাবে বন্ধ করা হবে। নতুনভাবে ফিরে আসার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


অনুষ্ঠানটির একজন কর্তাব্যক্তি ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘বন্ধ হওয়ার খবরটি পুরোপুরি সত্য নয়। মাত্র তিন মাসের জন্য বিরতিতে যাচ্ছে ‘সিআইডি’। এ বিরতি শুধুমাত্র একটি সৃষ্টিশীল কারণে। সিআইডি নির্মাতাদের চ্যানেল থেকে কোনো বন্ধ করে দেয়ার চিঠি পাঠানো হয়নি, যা থেকে স্পষ্ট যে তারা এখনও পূর্বের চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছেন। চ্যানেল এবং সিআইডি সিরিজের নির্মাতার সঙ্গে আলাপআলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’


তাহলে কেন এই হঠাৎ বিরতি? জানা যায়, অনুষ্ঠানটির টি আর পি-তে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তাই শো-তে কিছুটা বৈচিত্রতা আনতে চাচ্ছেন নির্মাতারা। অর্থাৎ ফরম্যাট পরিবর্তন করে নতুন রুপে দর্শকদের সামনে হাজির হবে সিআইডি।


একদল অপরাধীর পেছনে গোয়েন্দাদের তদন্ত নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘সি আই ডি’ সিরিজ। এর সহজবোধ্য গল্প, নির্মাণশৈলী, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দীর্ঘ ২১ বছর ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করছে। তাছাড়া সেই শুরু থেকেই থেকেই সিরিজে এসিপি প্রদ্যুমনের ভূমিকায় শিবাজি সত্যম, ইন্সপেক্টর অভিজিতের ভূমিকায় আদিত্য শ্রীবাস্তব ও ইন্সপেক্টর দয়ার ভূমিকায় দয়ানন্দ শেঠি অভিনয় করেছেন। ধারাবাহিকভাবে তাদের নজরকাড়া অভিনয় দর্শকদের আলাদাভাবে মন কেড়েছে। বিশেষ করে সিপি প্রদ্যুমনের বিখ্যাত সংলাপ ‘দয়া, দরোজা তোড় দো’ (দয়া, দরজা ভেঙে ফেল)দর্শকদের মুখে মুখে ফেরে।


ভারতের বিভিন্ন ভাষায় সি আই ডি সিরিজ প্রচারিত হয়। বাংলাদেশেও সিরিজটি দারুণ জনপ্রিয়। ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া সিরিজটির এই পর্যন্ত ১৫০০ টিরও বেশি পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছে।


সিআইডি অভিনেতাদের প্রতি এপিসোডের পারিশ্রমিক


এসিপি প্রদ্যুমন যিনি শিবাজি সতম


‘সিআইডি’ ধারাবাহিক যতটা জনপ্রিয়, ততটাই শিবাজি সতমের চরিত্র ও অভিনয়। বেশ কয়েকটি বলিউড ছবিতেও অভিনয় করেছেন শিবাজি। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, এই ধারাবাহিকের প্রতি এপিসোডে অভিনয়ের জন্য শিবাজির পারিশ্রমিক ৫ লক্ষ টাকা।


আদিত্য ওরফে ইন্সপেক্টর অভিজিত


তার ব্যক্তিত্ব কিন্তু টেলিভিশনের দুনিয়ায় ট্রেডমার্ক। মাঝে মাঝে তিনি খুব রাগী, আবার কখনও কখনও খুবই মজার। প্রতি এপিসোডে অভিনয় করতে আদিত্য শ্রীবাস্তব নেন ১ লক্ষ টাকা।


সিনিয়র ইন্সপেক্টর দয়া


দয়ানন্দ শেট্টি, সিআইডি-তে এসিপি প্রদ্যুম্নর ডান হাত। এই অভিনেতা ‘দয়া’ নামেই জনপ্রিয়। তাঁর দরজা ভাঙার কায়দা ভারতীয় টেলিভিশনের ট্রেডমার্ক তৈরি করেছে। এই অভিনেতা প্রতি এপিসোডে অভিনয় করতে ১ লক্ষ টাকা নেন।


সাব-ইন্সপেক্টর শ্রেয়া


জাহ্নবী ছেড্ডা ২০১২ সাল থেকে ‘সিআইডি’র সদস্য। বহু ক্রিটিকাল কেসে জাহ্নবী এসিপি প্রদ্যুম্নদের সাহায্য করেছেন। এই অভিনেত্রী প্রতি পর্বের অভিনয়ের জন্য নেন ৪৫ হাজার টাকা।


ইন্সপেক্টর ফ্রেডিক্স


দীনেশ ফড়নীশ। ‘সিআইডি’র গম্ভীর সদস্যদের মধ্যে এক জন কমিক রিলিফ। তার মজার ব্যক্তিত্ব বরাবরই স্ট্রেস রিলিভার। দীনেশ প্রতি পর্বের জন্য নেন ৭০-৮০ হাজার টাকা।


সাব-ইন্সপেক্টর পুরবী


‘সিআইডি’র কঠোর অফিসার আশা সইদ প্রতি পর্বে রোজগার করেন ৪০ হাজার টাকা।


ধারাবাহিকের অন্যতম জনপ্রিয় অফিসার বৈষ্ণবী ধনরাজও প্রতি পর্বে নেন ৪০ হাজার টাকা।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com