শিরোনাম
যে ভারতীয় সিনেমাগুলো ইতিহাস বদলে দিয়েছিলো
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৪৪
যে ভারতীয় সিনেমাগুলো ইতিহাস বদলে দিয়েছিলো
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

চলচ্চিত্র নির্মাণে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সিনেমা নির্মিত হয় সেই দেশেই। এর মধ্য থেকে সেরা ছবি নির্বাচন করা মোটেও সহজ নয়। তবুও এমন কাজের গুরু দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব মাসন্দ, কমল নাহতা, তরণ আদর্শ, মায়াঙ্ক শেখর ও খালিদ মোহাম্মদসহ বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র সমালোচক। সেখান থেকে সমালোচকদের সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া ১০টি ছবির কথা জানা যাক:


পথের পাঁচালী


অনেক চলচ্চিত্র সমালোচকের মতে, বাংলা ভাষায় নির্মিত ‘পথের পাঁচালী’ ভারতীয় চলচ্চিত্রে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ১৯৫৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে, বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামের জীবনধারা অত্যান্ত শৈল্পিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক সত্যজিৎ রায়। দেশ বিদেশে বহু পুরস্কার জেতার পাশপাশি ছবিটি গোটা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের নজর কেড়েছে।


মাদার ইন্ডিয়া


‘মাদার ইন্ডিয়া’ অস্কারে যাওয়া প্রথম ভারতীয় ছবি। ১৯৫৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নার্গিস, মনোজকুমার এবং সুনীল দত্ত’র মতো ওই সময়ের সেরা তারকারা। জমিদার ও মহাজনপ্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই ছবির গল্প দর্শক মহলে বেশ প্রশংসা কুড়ায়।


মুঘল এ আজম


ভারতের সবচেয়ে বেশি দেখা ছবির একটি ‘মুঘল এ আজম’। পৃথ্বীরাজ কাপুর এবং দিলিপকুমার অভিনীত এই ছবিতে উঠে আসে মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস। সম্রাট আকবরের ছেলে সেলিম এবং অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে আনারকলির সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখানো হয়েছে ছবিতে। ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে আনারকলির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সেই সময়ের হার্টথ্রব নায়িকা মধুবালা। তখনকার সময়ের সবচেয়ে বড় বাজেটের এই ছবি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল ১৫ বছর।


শোলে


১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শোলে’ দেখেনি এমন সিনেমাপ্রেমী খুব কমই রয়েছে। ধর্মেন্দ্র,অমিতাভ বচ্চন ও আমজাদ খান অভিনীত এই ছবির আবেদন এখনো ফুরোয়নি। খল চরিত্রে আমজাদ খানের অভিনয় এবং ছবির সংলাপ আজও দর্শকদের মুখে মুখে। শাহরুখ-কাজলের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের’ মুক্তির আগে ‘শোলে’ ছিল ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশীদিন ধরে চলা ছবি।


দিল চাহতা হ্যায়


ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ কোনোভাবেই ব্লকবাস্টার ছবি নয়। কিন্তু ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস লেখা হলে ফারহান আখতার পরিচালিত এই ছবির নাম ওপরের দিকেই থাকবে। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান, অক্ষয় খান্না ও সাইফ আলী খান। তিন বন্ধুর জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবি প্রথাগত বাণিজ্যিক ছবির ধারা বদলে দেয়। এরপর থেকে আজগুবি কাহিনী বর্জিত হতে থাকে বলিউড। সমালোচকদের মতে, আধুনিক জেনারেশনকে সিনেমামুখী করারা পেছনে ছবিটির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।


লগান


এই ছবি নির্মাণের সময় নাকি পরিচালক আশুতোষ গোয়াড়িকার কোনো প্রযোজক খুঁজে পাননি। ব্রিটিশ শাসনামলে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই ছবি নির্মাণে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসেন আমির খান। প্রযোজনার পাশপাশি দুর্দান্ত অভিনয়ও করেন আমির। ভারতের পাশপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও সাড়া ফেলে দেয় ‘লগান’। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি অস্কারে মনোনীত হয়।


থ্রী ইডিয়টস


গত দশকে ভারতের সবচেয়ে আলোচিত ছবির একটি ‘থ্রী ইডিয়টস’। তিন বন্ধুর কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই ছবি থেকে অনেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজে নেন। রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। আমির খান, মাধবান ও শারমান যোশি অভিনীত এই ছবি ভারতের সর্বপ্রথম ৩০০কোটি রুপি আয় করা ছবি।


দ্য লাঞ্চবক্স


একজন মানুষের সরলতা এবং কিছু অব্যক্ত প্রেমের গল্প নিয়ে ২০১৩ সালে নির্মিত হয় দ্য ‘লাঞ্চবক্স’। ইরফান খান ও নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর মতো অভিনেতাদের শক্তিশালী অভিনয় ছবিটিকে এনে দিয়েছে ভুরিভুরি প্রশংসা ও পুরস্কার। সমালোচকদের বিশ্বাস, অস্কার কমিটির বোকামির কারনেই ‘লাঞ্চবক্স’-কে অস্কারে পাওয়া যায়নি।


গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর


হাড় হিম করা থ্রিলার ধাঁচের এই ছবির নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি ভারতের সর্বকালের সেরা ছবির তালিকায় ঢুকে গেছে। বিহারের ওয়াসিপুর এলাকার তিন প্রজন্ম ধরে তৈরি এক প্রতিশোধের কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে গ্যাংস অব ওয়াসিপুর। অসাধারণ সব দৃশ্যপটে সাজানো এই ছবি এতটাই বড় ছিল যে, দুই খণ্ডে ছবিটি মুক্তি দিতে হয়। ছবিতে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও মনোজ বাজপেয়ীর মত বিখ্যাত অভিনেতাদের অভিনয় যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে দর্শক।


বাহুবলী


বলিউডের একছত্র অধিকারকে ভেঙে দেয়া ছবি সিরিজ ‘বাহুবলী। রাজমৌলি পরিচালিত এই ছবির বিশাল বাজেট এবং সেট শুধুমাত্র হলিউডের সঙ্গে তুলনা চলে। বিশ্বব্যাপী ২ হাজার কোটি রুপিরও বেশি আয় করে ‘বাহুবলী ২’ ভারতীয় ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড গড়ে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ছবিটি টপ চার্টে জায়গা করে নেয়।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com