শিরোনাম
নানজীবা’র ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১২
নানজীবা’র ‘দি আনওয়ান্টেড টুইন’
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নানজীবা খান একজন সাংবাদিক, একাধারে পরিচালক, নির্মাতা, উপস্থাপিকা, লেখক, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বিএনসিসি ক্যাডেট অ্যাম্বাসেডর, ইউনিসেফ তরুণ প্রতিনিধি, বিতার্কিক এবং ট্রেইনি পাইলট। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই যিনি আলোকিত করেছেন সাংস্কৃতিক এবং সৃষ্টিশীল বিভিন্ন অঙ্গন। ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নানজীবা খানের শুরুটা খুব ছোটবেলাতেই।


সব মিলিয়ে বহুমুখী প্রতিভার নানজীবা খান নির্মাতা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউ ও সিটিএফবি’তে। শিশু নির্মাতা হিসেবে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে নিজের কাজগুলোতে প্রমিনেন্ট আর্টিস্টদের নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন।


১৩ বছর বয়সে জীবনের প্রথম স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচিত্র ‘কেয়ারলেস’ পরিচালনা করেন । জীবনের প্রথম প্রামাণ্য চিত্র ‘সাদা কালো’ পরিচালনার জন্য ‘ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। এরপরে ‘গ্রো আপ’, ’’ দি আনস্টিচ পেইন” সহ তৈরি করেছেন আরো ৬টি শর্ট ফ্লিম ও প্রামাণ্যচিত্র।


সম্প্রতি তার চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় প্রথম নাটক “দি আনওয়ান্টেড টুইন” এর শূটিং শেষ করেছেন। প্রযোজনা করেছেন ফয়সাল আনোয়ার।
সিনোমেটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন পাভেল মাহমুদ জয়। এতে অভিনয় করেছেন অ্যানি খান, শিরিন আলম, রাজু আলীম, সাইফ সাইফুল সহ আরো অনেকে। উঠতি বয়সী কলেজ পড়ুয়া একজন কিশোরীর অতি আবেগপ্রবণ প্রেমের ফলে দুটি পরিচয়হীণ যমজ শিশুর জন্ম হয়। দুটি শিশু ও সেই তরুণীর জীবনের পরিণতি দেখা যাবে। এই সময়টিতে সমাজের অবহেলার ফলও দেখানো হয়েছে নাটকটিতে। পারিবারিক সহযোগিতার অভাব ও বয়সন্ধীকালে সাবধানতার অভাব যে কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে তারই প্রতিচ্ছবি এই নাটক।


নানজীবা খান বলেন, ‘আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা আমরা সমস্যার কথা জেনে বুঝে লুকিয়ে রাখি। একটি পর্যায়ে যখন সেটি বড় আকার ধারণ করে তখন শেষ মুহূর্তে সমাধানের চেষ্টা করি। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে সচেতন হলে বিপদের দিন আসার আগেই থামানো সম্ভব। শেষ থেকে শুরু করাও কিন্তু একটা যোগ্যতা। শত বাধার পরেও ঘুরে দাড়াতে হবে। বর্তমানে নাটকটির পোষ্ট প্রোডাক্টশনের কাজ চলছে”।


দুটি পরিচয়হীন যমজ শিশুর গল্প নিয়ে নির্মিত নাটকের শেষে এই বিষয়টি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারের বক্তব্য দেখা যাবে। খুব শীঘ্রই এটি টেলিভিশনের পর্দায় দর্শক দেখতে পাবেন।


উল্লেখ্য, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় জীবনের প্রথম ক্যামেরার সামনে আসা তার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘কাগজ কেটে ছবি আঁকি’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মিডিয়া জীবন শুরু হয় নানজীবার। বর্তমানে বিটিভিতে ‘আমরা রঙিন প্রজাপতি’, ‘আমাদের কথা’, ‘শুভ সকাল’ ও ‘আনন্দ ভুবন’ উপস্থাপনা করছেন। শুধু উপস্থাপনা নয়, পরিচালনাও করছেন নানজীবা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে জীবনের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কেয়ারলেস’ পরিচালনা করেন। তার পরিচালিত প্রথম প্রামাণ্যচিত্র ‘সাদা কালো’র জন্য ইউনিসেফের ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন। এরপর ‘গ্রো আপ’, ‘দ্য আনস্টিচ পেইন’সহ আরও বেশ কিছু প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি।


শুধু দেশেই নয়, বিএনসিসির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভারতের রক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেওয়ারও সুযোগ পেয়েছেন নানজীবা। একই সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে।


নানজীবার ঝুলিতে আছে বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ২০০৭ সালে জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতা জয়নুল কামরুল ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন পেইন্টিং কম্পিটিশনে জীবনের প্রথম অর্জনই ছিল আন্তর্জাতিক। উপস্থিত ইংরেজি বক্তৃতায় পেয়েছেন বিএনসিসি ও ভারত্বেশ্বরী হোমস প্রথম পুরস্কার।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com