লাইট-অ্যাকশন-কম্যারায় সকলেই হয়ে যায় সফল তারকা, এটা ঠিক না। ক্যারিয়ারের বন্ধুর রাস্তায় জনপ্রিয়তা ও সাফল্যের সোনার হরিণের নাগাল পেতে সংগ্রাম এবং অধ্যাবসায় চোখে পড়েনা। কিন্তু হঠাৎ করেই রূপালী পর্দা থেকে হারিয়ে গেলে বোঝা যায় তার শূণ্যতা।
অবশ্য তিল তিল করে গড়ে তোলা ক্যারিয়ারকে অনেকেই বিদায় জানিয়েছেন স্বেচ্ছায়। বিয়ের পরে স্বামী, সংসার ও সন্তানের কারণে শীর্ষ অবস্থান, তুমুল জনপ্রিয়তা, চাহিদা এবং রূপালী জগতের মোহ কাটিয়েছেন অনেক বলিউড সুন্দরী।
এমনই কয়েকজন সফল অভিনেত্রীকে দেখে নিন।
সায়রা বানু
৭০ দশকের জনপ্রিয় নায়িকা সায়রা বানু। সৌন্দর্য্য, মেধাবী অভিনয় এবং লাস্যময়ী অভিব্যক্তির জন্য তার চাহিদা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা দিলীপ কুমারের প্রেমে পরে ১৯৬৬ সালে তাকেই বিয়ে করেন সায়রা বানু। প্রায় দ্বিগুন বয়সের স্বামীর কারণেই বিয়ের পরে বলিউডকে বিদায় বলেন তিনি।
ববিতা কাপুর
‘হাসিনা মান জায়েগি’ অভিনেত্রী মাত্র ২৩ বছর বয়সে কাপুর খান্দানের রণধীরকে বিয়ে করে বলিউডকে বিদায় জানান। তবে তার দুই মেয়ে কারিশমা ও কারিনা তার ফাঁকা জায়গা ভরাট করেছে ঠিকই।
নার্গিস
রাজ কাপুরের সঙ্গে নার্গিসের প্রেমের গল্পটাই ছিল সিনেমার মতো। সে প্রেম সফল হয়নি, সহ-অভিনেতা সুনীল দত্তকে বিয়ে করার পর সংসারকেই একেবারে বেছে নিয়ে বড়পর্দাকে বিদায় জানিয়েছিলেন নার্গিস।
মন্দাকিনী
‘রাম তেরি গঙ্গা মৈলি’ ছবির জন্য আলোচিত এই অভিনেত্রী বিয়ে করেন ১৯৯০ সালে, এরপর তাকে কখনোই বড়পর্দায় দেখা যায়নি।
মীনাক্ষী শেষাদ্রী
৮০ দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেষাদ্রী বিয়ের পরে স্থায়ী হন যুক্তরাষ্ট্রে। নৃত্যশৈলী, মেধাবী অভিনয়, সুন্দর মুখশ্রী এবং সৌন্দর্য্যে শীর্ষ অবস্থান ফেলে রেখে সংসারেই মনোনিবেশ করেন তিনি।
ভাগ্যশ্রী
‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবির এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন হিমালয়কে। তারপর বলিউড থেকে হারিয়ে যান। পরে অবশ্য ছোট পর্দায় দেখা গেছে তাকে।
সোনালী বেন্দ্রে
শারীরিক গঠন, আবেদন, লাস্য, সৌন্দর্য্য এবং অভিনয়ের কারণে তিনি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। অভিনেতা না হলেও গোল্ডি বেহেল বলিউডের ক্ষমতাধর পরিচালক, প্রযোজক এবং পরিবেশক। ২০০২ সালে তাকে বিয় করে বলিউডকে বিদায় বলেন সোনালী। অবশ্য পরে কয়েকটি ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
টুইংকেল খান্না
বাবা রাজেশ খান্না এবং মা ডিম্পল কাবাডিয়া- দুজনেই তারকা। সফল ক্যারিয়ার ফেলেই আরেক তারকা বলিউড খিলাড়ি অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করেন ২০০১ সালে। এরপর অভিনয়ে আর দেখা যায়নি তাকে।
নম্রতা শিরোদকার
‘পুকার’ অভিনেত্রী ১৯৯৩ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা জিতে ফিল্মি ক্যারিয়ার শুরু করেন। বলিউডের পাশাপাশি তেলেগু ছবিতেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে প্রাদেশিক সুপারস্টার মহেশ বাবুকে বিয়ে করে যোগ্য ঘরনী হয়ে ওঠেন। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়েই তার বর্তমান জগত।
গায়ত্রী জোশি
‘স্বদেশ’ ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। বছরখানেক বাদে বিয়ে করে বলিউড ক্যারিয়ারকে একেবারেই বিদায় জানান তিনি।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]