বিপাশা হায়াত। নিজ নামেই যিনি এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি তার কর্ম দিয়ে তার প্রতি এদেশের মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর মায়া তৈরী করেছেন। শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ে নয়, এদেশের নাট্যপ্রেমী দর্শক সবসময়ই বিপাশা হায়াতের অভিনীত নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।

যদিও এখন আর অভিনয়ে তিনি নিয়মিত নন। কিন্তু তারপরও দর্শক প্রতীক্ষায় থাকেন কখন তিনি নতুন নাটকে অভিনয় করবেন। তাই বিপাশা হায়াতের নতুন কোন নাটকে অভিনয় করা যেন দর্শকের কাছে অন্যরকম ভালোলাগার দোলা দিয়ে যাওয়ার মতো। আর তাইতো তার অভিনয়ের দীর্ঘদিনের পথ চলায় খুব সহজেই বলা যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের সাথে বিপাশা হায়াত নামটি যেন ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত।

বাংলাদেশের টিভি নাটকের ইতিহাসে তার নামটি যেন শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হয় দর্শক, নির্মাতাদের কাছে। সহশিল্পীদের কাছেও বিপাশা হায়াত একজন প্রিয় সহকর্মীর নাম। বিপাশা হায়াত’র সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে জুনিয়ার যারা কাজ করেছেন তারাও তার কাছ থেকে অভিনয়ে অনুপ্রেরণা পেয়ে নিজেদের অভিনয়ের পথ চলাকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। তাই অনেক ক্ষেত্রে তিনি অনেক শিল্পীর কাছেও অভিনয়ের প্রতিষ্ঠান।

বিপাশা হায়াত তার এই অবস্থানকে শ্রম, সাধনা আর একাগ্রতা দিয়েই তৈরী করেছেন। শুধু অভিনয়েই নয়, বিপাশা হায়াত একজন চিত্রশিল্পী হিসেবেও সমাদৃত। তার আঁকা ছবি দেশে বিদেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে হয়েছে প্রশংসিত। গুণী এই ব্যক্তিত্বের জন্মদিন ২৩ মার্চ। বিবার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

বিপাশা হায়াতকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বাবা একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, বিপাশার জন্য সবসময়ই শুভ কামনা আমার। সে যেন সবসময় ভালো থাকে, সুস্থ থাকে এই দোয়া করি। আর অবশ্যই তার কাজগুলোতে সে যেন আরো সফলতা লাভ করতে পারে এই চাওয়াই থাকবে সবসময়।

বিপাশা হায়াতের মা শিরীন হায়াত বলেন, সবসময়ই দোয়া করি বিপাশা যেন তার স্বামী, সন্তানদের নিয়ে সুখে থাকে, ভালো থাকে। জন্মদিনে তার জন্য অনেক দোয়া আর ভালোবাসা।

গত ১১ মার্চ বিপাশা হায়াত গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত ‘ডুয়েল প্লে’ কাহিনীচিত্রে অভিনয়ের জন্য ‘চারু নীড়ম’ থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃত হন।

বিবার্তা/অভি/কাফী