আসছে ভালোবাসা দিবসের জুটি হয়ে ছোটপর্দায় আসছেন মীর সাব্বির ও মৌটুসী বিশ্বাস। আজিজুল হাকিমের নির্দেশনায় তারা ‘মিথজীবী’ টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। দু’জনকে নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখেছেন অভি মঈনুদ্দীন।
আসছে ভালোবাসা দিবসে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে ড. মঈনুল খানের মূল গল্পে, জিনাত হাকিমের চিত্রনাট্যে এবং আজিজুল হাকিমের নির্দেশনায় নির্মিত টেলিফিল্ম ‘মিথজীবী’। নাটকের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বির ও গুণী অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস।
মিথজীবী টেলিফিল্মের মূল বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে জিনাত হাকিম জানান, সম্পর্কের নির্ভরতার কারণে সম্পর্কগুলো আরো নিবিড়ভাবে গভীর হয়। তাই হচ্ছে মিথজীবী টেলিফিল্মের মূল কথা। মানুষে মানুষের সম্পর্কে আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা থাকবে। কিন্তু তারপরও যখন একটি সম্পর্কে নির্ভরতা তৈরি হয় তখন তা আরো গভীর হয়।
এরইমধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডির বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে টেলিফিল্মটির শুটিং হয়েছে। প্রথমবারের মতো মীর সাব্বির এবং মৌটুসী বিশ্বাস আজিজুল হাকিমের নির্দেশনায় অভিনয় করেছেন।
আজিজুল হাকিমের নির্দেশনা প্রসঙ্গে মীর সাব্বির বলেন, হাকিম ভাই এর আগে আমার নির্দেশনায় নোয়াশাল ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। আমারও ইচ্ছে ছিলো তার নির্দেশনায় অভিনয় করার। সেই ইচ্ছেটাই পূরণ হলো মিথজীবীতে অভিনয় করে। হাকিম ভাই মানুষ হিসেবে যেমন শান্তশিষ্ট, নির্দেশনাতেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজটি করেছেন। খুব গুছিয়ে তিনি কাজ করেন। আমরা ভীষণ উপভোগ করেছি তার নির্দেশনা।
মৌটুসী বিশ্বাস বলেন, জিনাত ভাবী খুব গুছানো একজন মানুষ। হাকিম ভাই যখন নির্দেশনায় মনোযোগ থেকেছেন তখন চারিদিকে দৃষ্টি রেখেছেন জিনাত ভাবী। যে কারণে হাকিম ভাই বেশ মনোযোগ দিয়ে কাজটি করতে পেরেছেন। হাকিম ভাই এবং জিনাত ভাবী দু’জনই অভিনয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। আমি তা সানন্দে গ্রহণ করেছি। তবে ভালো লাগার বিষয় এই যে আমি বা সাব্বির ভাই দু’জনরেই বয়স ত্রিশের কোঠায়। সাধারণত ভালোবাসা দিবসের বিশেষ কাজ হয় সেইসব শিল্পীদের নিয়ে যাদের বয়স বিশের কোঠায়। কিন্তু আমাদের দু’জনকে নিয়ে এমন একটি ম্যাচুউরড কাজ হওয়ায় ভালো লাগছে।
মীর সাব্বির ও মৌটুসী ২০০৯ সালে প্রথম সুমন আনোয়ারের নির্দেশনায় ‘ডোরাকাটা’ নাটকে অভিনয় করেন। এরপর তারা দু’জন জাহিদ হাসান, আবু সাইয়ীদ, লিটু করিমসহ আরো বেশ ক’জন নির্মাতার নির্দেশনায় অভিনয় করেছেন।
মীর সাব্বির অভিনয়ে যেমন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, নির্দেশনাতেও সময় দেয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষত বছরের দুই ঈদে তিনি দর্শকের জন্য নির্মাণে চমক রাখেন। তার নির্দেশিত আরটিভিতে প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটক ‘নোয়াশাল’ এই সময়ের জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক নাটক।
নাটকটি প্রসঙ্গে মীর সাব্বির বলেন, নোয়াশাল এতোটাই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে যে চ্যানেল কর্তৃপক্ষের দাবী যে এটা যেন হঠাৎ করেই বন্ধ করে না দেয়া হয়। আমিও চেষ্টা করছি গল্পে নতুনত্ব আনতে। কারণ আমিও চাই দর্শক নোয়াশালে মগ্ন থাকুক।
আপনার কী ইচ্ছে আছে নাটক নির্মাণের ? এমন প্রশ্নের জবাবে মৌটুসী বলেন, নাটক নির্মাণের সাহস নেই আমার। মৌটুসী অভিনয় করতেই ভালোবাসেন। তাই ভিন্ন ধরনের গল্পে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেই তাকে অভিনয়ে দেখা যায়।
মৌটুসী অভিনীত ধারাবাহিক ‘চিরকুমারী সংঘ’,‘ডুগডুগি’ এবং ‘পাগলা হাওয়া’ তিনটি ভিন্ন চ্যানেলে নিয়মিতভাবে প্রচার হচ্ছে। এর বাইরে তিনি বেশকিছু নতুন ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন মৌটুসী। ‘ব্যাচেলর’.‘ইউটার্ন’ এবং ‘নয় ছয়’র পর নতুন কোন সিনেমায় দেখা যায়নি মৌটুসীকে।
চন্দন চৌধুরী নির্দেশিত ‘কী যাদু করিলা’ চলচ্চিত্রে পপির বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন মীর সাব্বির। চলচ্চিত্রে আর অভিনয় না করলেও সাব্বির স্বপ্ন দেখেন বড় ক্যানভাসে নিজের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করার।
বিবার্তা/অভি/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]