ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পারিবারিক আদালতে ডিভোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার সমঝোতা বৈঠকে অংশ নেন অপু বিশ্বাস। দুপুর সাড়ে ১২টায় হাজির হন তিনি। তবে ডিএনসিসি'র অঞ্চল-৩ এর অফিসে অনুষ্ঠিত শুনানিতে এদিন শাকিব খান অনুপস্থিত ছিলেন। এমনকি তার কোনো প্রতিনিধিও পাঠাননি।
গেলো বছরের শেষ দিকে স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাক নোটিশ পাঠান শাকিব। অপুকে 'অবাধ্য স্ত্রী' হিসেবে অভিযুক্ত করে নানা আপত্তির কথা জানান তিনি। ওদিকে সংসার টেকাবার সর্বাত্মক চেষ্টায় যারপরনাই ছাড় দিয়ে যাচ্ছেন অপু। তার বিশ্বাস, অন্তত ছেলে আব্রামের জন্যই ফিরে পাবেন স্বামীকে।
শুনানি শেষে অপু গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক আদালতে সিনিয়র সচিব হেমায়েত হোসেন আমাকে জিজ্ঞেস করেন ডিভোর্স চাই কী না। আমি বলেছি, আমার একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যত আমি অনিশ্চয়তায় ফেলতে চাই না। তাই ডিভোর্সের পক্ষে নই।
তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে হালের আলোচিত এ নায়িকা আরো বলেন, মনোমালিন্য সব সংসারেই হয়। তাই বলে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়া হাস্যকর। যদি ডিভোর্সই চূড়ান্ত সমাধান হয় তবে এই দেশে রোজ রোজ শত শত সংসার ভেঙে যাবে।
ওদিকে শ্যুটিং ব্যস্ততাকে প্রাধান্য দিয়ে এসময় অনুপস্থিত থাকা শাকিব মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, দেখুন এসব নিয়ে আমার আর মাথা ঘামানোর সময় নেই। যা বলার আমি আগেই বলেছি। আমার আইনজীবী আছে। যেহেতু বিষয়টা আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে নাই, সেহেতু আইনগতভাবেই এগোনো হচ্ছে।
তবে জানা গেছে, ডিভোর্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেসব কাগজপত্র জমা দেয়া দরকার, সেগুলোর অনেক কিছুই জমা দিতে পারেননি শাকিব। ওদিকে অপুর দাবি, দেশে প্রচলিত ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনে নারীদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। অন্যায়ভাবে ডিভোর্স হলে আইনের সাহায্য নেয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। আর আইন অনুযায়ী এই ডিভোর্সের আবেদনটি শুদ্ধ নয়।
বিবার্তা/শাহনেওয়াজ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]