শিরোনাম
রোবট সোফিয়াকে হলিউড অভিনেত্রীর মতো তৈরির রহস্য!
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:২৪
রোবট সোফিয়াকে হলিউড অভিনেত্রীর মতো তৈরির রহস্য!
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগানো রোবট সোফিয়াকে নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। বাংলাদেশে আসা রোবট সোফিয়া পরিণত হয়েছে এক তারকায়। এরই মধ্যে বেশকিছু সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছে সাক্ষাৎকার, গান গেয়েছে কনসার্টে।


শুধু তাই নয়, শীর্ষস্থানীয় একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদেও ঠাঁই পেয়েছে সোফিয়ার ছবি। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া তার একটি সাক্ষাৎকার এরই মধ্যে কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে হয়েছে অনেক আলোচনা। রীতিমতো তারকাখ্যাতি পাওয়া রোবট সোফিয়াকে তৈরিও করা হয়েছে এক তারকারই আদলে। তিনি হলেন হলিউডের ব্রিটিশ অভিনয়শিল্পী অড্রে হেপবার্ন।


সরু নাক, মুগ্ধ করা হাসি ও গভীর চোখের সোফিয়া যেন হেপবার্নের ক্লাসিক সৌন্দর্যকেই ধারণ করে রেখেছে। একটি রোবট দেখতে কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যেই তাকে সুন্দরতম একজন মানুষের আদল দেয়া হয়েছে। সোফিয়ার চোখগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন আলোর সঙ্গে সঙ্গে এর রঙের পরিবর্তন হয়।


যার আদলে সোফিয়াকে তৈরি করা হয়েছে সেই হেপবার্নের জন্ম ১৯২৯ সালে। তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী ও মানবহিতৈষী। হলিউডে যখন স্বর্ণযুগ চলছিল তখন পর্দা কাঁপিয়েছেন হেপবার্ন।


ফ্যাশন আইকন হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন এ তারকা। আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট কর্তৃক মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী কিংবদন্তি হিসেবেও স্বীকৃতি পান হেপবার্ন।


শুধু অভিনয় আর রূপ দিয়ে যে তিনি সকলের মন জয় করেছিলেন তা নয়, মানবসেবায়ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তিনি৷ জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি৷ হেপবার্নের কাজের প্রতি সম্মান জানাতে নিউ ইয়র্কে ইউনিসেফ-এর সদর দপ্তরে একটি প্রতিমূর্তি স্থাপন করেছে জাতিসংঘ৷


ইউনিসেফ-এর দূত হয়ে ১৯৮৯ সালের শুরুতে ঢাকায় এসেছিলেন ব্রিটিশ এই হলিউড অভিনেত্রী৷ সেসময় ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের রিকশায় বসিয়ে চালকের আসনে হেপবার্নের ছবিও প্রকাশিত হয়েছিল৷


হেপবার্নের অন্যতম প্রিয় কবিতা ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘অনন্ত প্রেম’৷ অবশ্যই সেটার ইংরেজি অনুবাদ, যার নাম ‘আনএন্ডিং লাভ’৷


আর এরইমধ্যে সৌদি আরবের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রোবট সোফিয়াকে তৈরি করেছেন হংকংয়ের নাগরিক ড. ডেভিড হ্যানসন। হ্যানসন রোবটিকসের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।


মানুষের ভাবভঙ্গি বুঝতে ও হাসি-কান্না, রাগ-অভিমানসহ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে সোফিয়া। কেউ তার সঙ্গে কথা বললে তাদের বোঝার চেষ্টা করে সে। সামনে মানুষ না থাকলে নিজে নিজে মুভি চালিয়ে দেখে। ভাবতে পারে জগৎ, সংসার, সংস্কৃতি ও দর্শন নিয়েও।


মানুষের মতো দেখতে রোবট সোফিয়াকে তৈরি করেছে হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিক্স। রোবটটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে সে মানুষের ব্যবহারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ও শিখতে পারে এবং মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পারে। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সোফিয়াকে ‘অ্যাক্টিভেট’ করা হয়। ১১ অক্টোবর তাকে প্রকাশ্যে আনা হয়।


রোবট সোফিয়া সম্প্রতি খালিজ টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলে, ‘পরিবার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।’ সোফিয়ার মতে, তার যদি একটি কন্যা রোবট থাকে, তাহলে নিজ থেকেই কন্যার নাম রাখবে এবং সোফিয়া বিশ্বাস করে, রোবটদের একটি পরিবার থাকা উচিত।


বিবার্তা/শারমিন


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com