নাটক ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশের পাশাপাশি অভিনয় দ্যুতি ছড়িয়েছেন পাশের দেশ ভারতেও। সেই জয়ার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ সিনেমা ‘ভালোবাসার শহর’। এতে একজন সাহসী নারীর জীবনযুদ্ধ তুলে ধরেছেন তিনি। আর এ সিনেমায় জয়ার অভিনয় দেখে মুগ্ধ বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান।
সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বিদ্যা বালান বলেন, বাংলা ছবির আমি অন্ধ ভক্ত। বহু বাংলা ছবি আমি আজও দেখি। নানা বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি বার বার, সেটা ভালো করেই জানেন আপনারা। আমি তো সবসময়ে বলি, বাংলা আমার দ্বিতীয় ভাষা। আনন্দের শহর কলকাতা আমার সেকেন্ড হোম। ‘ভালোবাসার শহর’ দেখার ইচ্ছেটা সেই ভাষার জন্যে ভালোবাসা থেকেই।
তিনি বলেন, ছবিটি দেখার পর কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। চুপ করে বসেছিলাম। ভেতরে ভেতরে চলছিল একটা তীব্র অস্থিরতা। এ কোন পৃথিবীর দৃশ্য দেখলাম আমি! যুদ্ধবিধ্বস্ত হোমস শহরের ছবি আমাকে ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। আমরা এখনও কতখানি অজ্ঞতা, কত দুর্বল স্মৃতি নিয়ে বসবাস করি এই পৃথিবীর বুকে। ভাবি, নিজেরা সেফ থাকলেই যথেষ্ট!
জাতীয়-পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বলেন, অন্নপূর্ণা দাসের চরিত্রে কী অপূর্ব অভিনয় করেছে জয়া আহসান! একটি সাধারণ মেয়ে, যে মুসলিম ছেলের উপর ভরসা করে ঘর ছেড়েছিল, শহর ছেড়ে বহুদূর দেশ সিরিয়ার হোমস শহরে চলে গিয়েছিল। সেই দুঃসাহসী মেয়ের জীবনে নেমে এল অন্ধকার। যুদ্ধের সময়ে নিরুদ্দিষ্ট স্বামী, কোমাচ্ছন্ন ছোট্ট মেয়ে, বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে এক নারীর কী অসমসাহসী লড়াই দেখাল ‘ভালোবাসার শহর’, বলে বোঝানোর ক্ষমতা নেই আমার! কী অভিনয় করে দেখালেন জয়া!
জয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিদ্যা বালান আরও বলেন, জয়ার অভিনয় আমি দেখেছি ‘রাজকাহিনী’ ছবিতে। ওর মতো শক্তিশালী অভিনেত্রী আমি খুব কমই দেখেছি। জয়ার জন্যে আমার পক্ষ থেকে অনেক হাততালি পাওনা রইল। আর অবশ্যই, ধন্যবাদ ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীকে এমন একটি সুন্দর ছোট ছবি উপহার দেয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, ‘ভালোবাসার শহর’ তথা ‘সিটি অব লাভ’ হলো ভারতের বাংলা ভাষার একটি সল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র। চলতি বছরের ৩০ জুলাই মুক্তি পায় সল্পদৈর্ঘ্যেটি। এটি নির্মাণ করেছেন ‘ফড়িং’ সিনেমাখ্যাত ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। এতে আরো অভিনয় করেছেন -ঋত্বিক চক্রবর্তী, অরুণ মুখার্জি ও সোহিনী সরকার।
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]