
পুরোপুরি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন দেশের প্রখ্যাত লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। হাসপাতালে ১৩ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন ফরিদা পারভীন। রাতে সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ফরিদা। ফুসফুসে পানি জমার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত বেশ কয়েকটি জটিলতা দেখা দেয় তার। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে ফরিদাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এখন সুস্থ ফরিদা। তবে চিকিৎসকের দেয়া পরামর্শ কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে তাকে।
এ প্রসঙ্গে আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ফরিদা পারভীন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে এর ছন্দপতন হতে পারে। কারণ চিকিৎসার সময় তার শারীরিক অবস্থা এতোটাই খারাপের দিকে যাচ্ছিলো যে কিডনি জটিলতা দেখা দিতে শুরু করে।
আশীষ কুমার চক্রবর্তী আরও বলেন, এ কারণে রোগীর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত সেটার দরকার হয়নি। রোগীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে তাই একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। সেটা তাকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। অন্যথায় জটিলতা তৈরি হতে পারে।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা। ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে। শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল রয়েছে তার।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]