
ঢাকাই চিত্রনায়িকা পরীমণি ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েনকে নিয়ে সরগরম দেশের গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া।
২৩ জুন, মঙ্গলবার সারাদিনই একের পর এক বিভিন্ন শিরোনাম হয়ে উঠে এসেছে পরীমণি-সাকলায়েন প্রসঙ্গ।
এরই মধ্যে সাম্প্রতিক এই আলোচনায় নিজেকে জড়িয়ে নিলেন বর্তমান সময়ের আরেক আলোচিত শোবিজ তারকা ও মডেল পিয়া জান্নাতুল। পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের জেরে চাকরি হারাতে বসা সাকলায়েনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে রীতিমতো আঙুল তুললেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক এক পোস্টে এ অভিযোগের কথা জানান পিয়া জান্নাতুল।
পোস্টে পিয়া লিখেছেন, ‘এই সেই ব্যক্তি (সাকলায়েন) যিনি প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বকভাবে সিআরপিসির ১৬৪ ধারার অধীনে জবানবন্দি নিতে আব্বার সম্মতি নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমি সম্মতি না দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম আব্বাকে। কেননা, এ ঘটনায় মোটেও জড়িত ছিলেন না তিনি। কিন্তু আমি ডিবি অফিসে যাওয়ার আগেই তিনি আব্বার কাছ থেকে লিখিত বক্তব্য নিয়ে আদালতে পরদিন জমা দিয়ে দেন। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করায় আমার ওপরও ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এবং আব্বাকে বলেন, আমি যাতে চুপ থাকি। তার জানা ছিল না যে চুপ থাকার জন্য জন্মগ্রহণ করিনি আমি।’
পিয়া আরও লেখেন, ‘গ্রেপ্তারের দিন আব্বা এতটাই অসুস্থ ছিলেন, যে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। আব্বার বয়স তখন ৭৭ বছরেরও বেশি। এডিসি সাকলায়েন বলেছিলেন, তার ছেলের স্কুলের অনুষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করতে এসেছেন। বেচারা পরিবারকেন্দ্রিক লোকটি এখন সব হারালো।’
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমার দেখা মতে এডিসি সাকলায়েন অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বুদ্ধির ও ধূর্ত লোক ছিলেন। কিন্তু তার করা একটি ভুল সবকিছু তছনছ করে দিলো। যদিও মানুষকে তাদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা করা হয় কিন্তু প্রকৃতি সর্বদা প্রতিশোধ নিয়ে থাকে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৭ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন অন্তত ৭৫ জন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয়। মামলার বাদী বনানী থানা-পুলিশ। এই মামলার অন্যতম আসামি এস এম এইচ আই ফারুক, যিনি পিয়া জান্নাতুলের শ্বশুর। এস এম এইচ আই ফারুক ছিলেন জমির মূল মালিক।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]