
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা মাহিয়া মাহি। তিনি একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন।
খবরটি জানিয়ে নিজের ফেসবুক থেকে প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, আমি মাহিয়া মাহি। আজকে আমি তোমাদের জন্য দারুণ একটি নিউজ নিয়ে এসেছি। আমি নতুন এক ফ্যামিলিতে যোগ দিতে যাচ্ছি। জয়েন হতে যাচ্ছি শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। অনেক চমক নিয়ে আসব তোমাদের কাছে।
এদিকে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসালে এবং কেউ তাতে অংশ নিলে তা হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং প্রচলিত আইন অনুসারে সব ধরনের জুয়া বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
বিষয়টি নিয়ে মাহি বলেন, চুক্তিতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে ক্রিকেট রিলেটেড ইনফরমেটিভ প্ল্যাটফর্ম অ্যান্ড নট প্রমোটিং ক্যাসিনো। আমি এভাবেই তাদের সঙ্গে চুক্তি করেছি। চুক্তিতে এটাও উল্লেখ আছে, আমি যদি কোনো বেটিং অ্যাপের সঙ্গে কাজ করতে চাই, সেটাও পারব না। আমি অবৈধ কোনো কিছু করিনি। আমাদের দেশের অনেকেই এ রকম চুক্তি করেছেন। আমি অবশ্যই বেটিং অ্যাপের সঙ্গে নেই, ভবিষ্যতেও থাকব না।
মাহির হাতে বর্তমানে নেই নতুন সিনেমা। নির্বাচনে হেরেছেন। দ্বিতীয় সংসার ভেঙেছে। তবে নিজেকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জিমে গিয়ে নিজেকে ফিট রাখছেন। নতুনভাবে নিজেকে দর্শকের সামনে হাজির করতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এমন সাইটের বিজ্ঞাপন ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাম জড়িয়েছে জয়া আহসান, অপু বিশ্বাস ও নুসরাত ফারিয়ার। এর মধ্যে জয়া ও ফারিয়াকে শুধু বিজ্ঞাপনে পাওয়া গেলেও অপু কাজ করছেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে! আর তাঁদের বেশির ভাগেরই দাবি, ভুল তথ্যে তাঁরা এগুলোতে জড়িয়ে পড়েছেন।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]