
এর আগেই তার মৃত্যর খবর ছড়িয়েছিল। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় তিনি মারা যাননি, এখনো বেঁচে আছেন। তবে তার অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক। সেখান থেকে আর ফিরতে পারলেন না বিক্রম গোখলে। অবশেষে চলেই গেলেন ভারতীয় জনপ্রিয় এই অভিনেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
শনিবার পুণের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিক্রম। গত ১৭ দিন ধরেই পুণের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। শুক্রবার আবারও বিক্রম গোখলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনের মাত্রাও বাড়াতে হয়। আপ্রাণ চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা। তবে শেষরক্ষা হলা না।
তার মরদেহ আপাতত পুণের বালগন্ধর্ব সভাগৃহে রাখা হবে। সেখান থেকেই শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
শুধু বিক্রমই নন, তার পরিবারের অনেক সদস্যই অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার বাবা চন্দ্রকান্ত গোখলে ছিলেন মারাঠি সিনেমা এবং থিয়েটারের অভিনেতা। ঠাকুরমাও ছিলেন অভিনেত্রী। বিক্রমও মারাঠি সিনেমা জগতে জনপ্রিয় ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন বিক্রম। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘পরওয়ানা’ ছিল তার প্রথম সিনেমা। বিক্রমকে দর্শক সম্প্রতি ‘নিকম্মা’ ছবিতে দেখেছেন। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন শিল্পা শেঠি এবং অভিমন্যু দাশানি।
‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে প্রচারের আলোয় চলে আসেন বিক্রম। ‘দিল সে’, ‘ভুলভুলাইয়া’, ‘হিচকি’, ‘মিশন মঙ্গল’-সহ আরও ছবিতে তার অভিনয় আজও দর্শকের মনে রয়েছে। মারাঠি সিনেমার ‘অনুমতি’র জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]