বস্তা বাঁধার সুতার সূত্র ধরে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সময় একটি প্লাস্টিকের দড়ির সূত্র ধরে রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। তারপরই শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পর তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে শিমুর পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে ও শিমুর বাসায় গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে। লাশ গুম করতে বস্তা দুটি যে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে সেলাই করা হয়েছিল, সেই দড়ির হুবহু এক বান্ডিল শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়। দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে গাড়িটি ধৌত করা হয়।তাৎক্ষণিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোবেলকে আটক করে পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। শিমুর স্বামী জানান, পারিবারিক কলহের জেরে তিনি শিমুকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। ১৬ জানুয়ারি সকাল ৭টা-৮টার দিকে তিনি শিমুকে হত্যা করেন। এরপর ফরহাদকে মুঠোফোনে কল করে ডেকে নেন। পরে ফরহাদ ও নোবেল বাইরে থেকে বস্তা এনে শিমুর লাশ লম্বালম্বিভাবে দুটি পাটের বস্তায় ভরে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে সেলাই করেন। এরপর বাড়ির দারোয়ানকে নাশতা আনতে বাইরে পাঠিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনের আসনে শিমুর লাশ নিয়ে বেরিয়ে যান। প্রথমে নোবেল ও ফরহাদ লাশ নিয়ে মিরপুরের দিকে যান। কিন্তু সেখানে লাশ গুম করতে না পেরে আবার বাসায় ফেরেন। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় আবার তারা লাশ গুম করতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বছিলা ব্রিজ হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হযরতপুর ইউনিয়নের দিকে যান। সেখানে রাত সাড়ে নয়টার দিকে কদমতলী এলাকার আলীপুর ব্রিজের ৩০০ গজ দূরে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর ফেলে দেন লাশটি।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]