বলিউডের খিলাড়িখ্যাত অক্ষয় কুমার বাস্তব জীবনেও একজন খিলাড়ি। বলিউড ক্যারিয়ারে তাকে ঘিরে তৈরি হওয়া অধিকাংশ বিতর্কই কোন না কোন নারীকে কেন্দ্র করে।

১. পরিচালক হিসেবে শীর্ষ কুন্দরের অভিষেক ছবির নায়ক ছিলেন অক্ষয় কুমার। কিন্তু ছবি মুক্তির প্রোমোশনে দেখাই মেলেনি অক্ষয়ের। শীর্ষ সরাসরি না হলেও অক্ষয়ের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। অক্ষয়েরও পাল্টা যুক্তি ছিল, শীর্ষ কুন্দর পরিচালক হিসেবে শুধু খাজা নন সিনের শ্যুট করা সম্পর্কেও অজ্ঞ। এমনকী যে কাহিনি শীর্ষ বেছেছিলেন ছবির জন্য তাকে বাল্যখিল্য বলেও তোপ দেগেছিলেন অক্ষয়।

২. টুইঙ্কল খান্নাকে বিয়ে করার পরও নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। আর তার এই সম্পর্কের রানি ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অক্ষয় কুমারের ছবিতেই প্রিয়াঙ্কার বলিউডে অভিষেক হয়েছিল। ‘এয়েতরাজ’ছবিতে দুজনের মধ্যে মাখোমাখো সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল। অনেকে বলেন অক্ষয়কে মই হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা।

৩. অক্ষয় কুমারের জীবনে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রেমিকা ছিলেন রবিনা ট্যান্ডন। ‘মোহড়া’ছবি দিয়ে একে অপরের মধ্যে প্রেম শুরু। এরপর নানা সময়ে দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদও হয়েছিল। কিন্তু, ফের অক্ষয়ের জীবনে ফিরে এসেছিলেন রবিনা। বলা হয়, অক্ষয় কুমারকে বলিউডের যোগ্য করে তুলেছিলেন রবিনা। এমনকী, অক্ষয়ের জন্য একাধিক বিয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষমেশ মনের সেই মানুষটিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি।

৪. কুমারের সঙ্গে রেখারও নাম জডিয়েছিল। স্বামী মুকেশের আত্মহত্যার পর নিঃসঙ্গই ছিলেন রেখা। ‘খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি’-র সেটে অক্ষয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল রেখার। বলা হয় ছবির একটি বেডসিনে এবং এক লিপ-লক দৃশ্যে অক্ষয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন রেখা। এরপর বেশ কিছুদিন দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, বয়সের ব্যবধান এই প্রেমকে টিকতে দেয়নি।

৫. ‘জুলমি’ছবির সেটে টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে পরিচয় এবং প্রেম শুরু। ছবির শ্যুটিং যত এগোতে থাকে ততই প্রেম বাড়তে থাকে দুজনের। অক্ষয় কুমার তখন বলিউডে রীতিমতো স্টার। আর টুইঙ্কল খান্না নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এদিকে, অক্ষয়ের সঙ্গে রবিনা ট্যান্ডনের প্রেমও তখন তুঙ্গে। মাঝখানে শিল্পা শেঠীর সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক থাকলেও রবিনা ফের কামব্যাক করেছিলেন। কিন্তু, রবিনাকে সেই অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে টুইঙ্কল খান্নাকেই জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেন অক্ষয়।

৬. মুম্বাইয়ে এক ফ্যাশন উইকে এক নামজাদা জিনস সংস্থার হয়ে র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন অক্ষয় কুমার। র‌্যাম্পে হাঁটার সময় দর্শকাসনে বসে থাকা স্ত্রী টুইঙ্কলের দিকে এগিয়ে গিয়ে নিজের জিনসকে আনজিপ করেছিলেন অক্ষয়। এই নিয়ে অনেক ঠাট্টা হলেও বিতর্ক কম হয়নি।

৭. অক্ষয় কুমার এবং শিল্পা শেট্টির প্রেম— এই প্রেমের কথা অক্ষয় কুমার কোনওদিনই স্বীকার করেননি। তবে, ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’ছবির পর থেকেই দুজনকে একাধিক স্থানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। শিল্পার সঙ্গে বিদেশে একাধিক ট্যুরও করেছিলেন অক্ষয়। যদিও, অক্ষয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের বহু বছর পর শিল্পা এক সাক্ষাৎকারে নিজের স্বপ্নের মানুষের কথা বলতে গিয়ে এই প্রেমের বহু অজানা কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন।

৮. শিল্পা শেট্টি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি কুমারিত্ব হারিয়েছিলেন। আর এটা হয়েছিল ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’ছবির শ্যুটিং চলাকালীন। এক হোটেলে অক্ষয় কুমার এবং তিনি (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ) মেতেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন শিল্পা। তার মতে, এটা ছিল আসলে দুটি মানুষের একে অপরের প্রতি ভালবাসার প্রকাশ। এই ঘটনার জন্য তিনি কোনওভাবে অনুতপ্ত নন বলেও সেই সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন শিল্পা।

৯. আয়েশা জুলখার সঙ্গে অক্ষয়ের প্রেম— ‘খিলাড়ি’ছবি থেকে ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়েছিল। ছবির সাফল্য দুজনকে আরও কাছাকাছি এনেছিল। কিন্তু মাঝখানে নানা পাঠেকরের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল আয়েশার। ব্যাস প্রেমের সেখানেই সমাপ্তি। অবশ্য, অক্ষয়ের জীবনে ততদিনে নতুন নারীও এসে গিয়েছিল। আর তাঁর নাম ছিল রবিনা ট্যান্ডন।

১০. অক্ষয় কুমার এবং পূজা বাত্রার প্রেম— বলিউডে প্রবেশ করতে অক্ষয় নাকি পূজাকে মই হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। অক্ষয় তখন স্ট্রাগলরা হিসাবেই বলিউডে ঘোরাফেরা করছিলেন। আর পূজা ছিলেন প্রতিষ্ঠিত মডেল এবং বলিউডের ঘরানায় পরিচিত মুখ। বর্তমানে আমেরিকায় থাকেন পূজা। এবিসিডি টু ছবিতে পূজাকে এক রেস্তোরাঁ মালকিনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে।

বিবার্তা/জিয়া