শিরোনাম
গোবিন্দকে পেতে এক ধনীর দুলালি যা করলেন...
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১২:১০
গোবিন্দকে পেতে এক ধনীর দুলালি যা করলেন...
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রেমে পড়লে মানুষ কত কিনা করে! আর প্রেমিক বা প্রেমিকার মন জয় করার কত শত কৌশলের দৃশ্য আমরা প্রায়ই নাটক-সিনেমায় দেখে থাকি।


প্রেমে পাগল হয়ে কোটিপতির একমাত্র ছেলে গোবিন্দ সব ছেড়ে প্রেমিকার বাড়ির চাকর হয়ে কাজে ঢুকেছিলেন। জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ- সব সামলেছেন একা হাতে। উদ্দেশ্য ছিলো প্রেমিকা এবং তার পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করা। করেও ছিলেন এবং পরে ধরাও পড়েছিলেন।


এতক্ষণ যে গল্পটি পড়লেন, তা টেলিভিশনে অনেকেই দেখেছেন। গোবিন্দ ও কারিশমা কাপুর অভিনীত জনপ্রিয় ছবি ‘হিরো নম্বর ওয়ান’। এই সিনেমায় গোবিন্দ অভিনয় করেছিলেন রাজেশ মালহোত্রা চরিত্রে। যিনি কিনা ধনকুবের ধনরাজ মালহোত্রা অর্থাৎ অভিনেতা কাদের খানের একমাত্র ছেলে।


কিন্তু জানেন কি, গোবিন্দর নিজের জীবনেও ঘটে গিয়েছিলো হুবহু এ রকমই একটি ঘটনা! শুধু ভূমিকাগুলো বদলে গিয়েছিলো। ছবিতে কারিশমার প্রেমে পাগল হয়েছিলেন গোবিন্দ। বাস্তবে গোবিন্দের প্রেমে পাগল হয়েছিলেন এক নারী। যিনি নিজেও ছিলেন কোটিপতির মেয়ে।


ছবিতে গোবিন্দ যেমন কারিশমা এবং তার পরিবারকে খুশি করতে চাকর সেজেছিলেন, তেমনই বাস্তবে তার নিজের বাড়িতেও পরিচারিকার কাজ নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ওই কোটিপতি নারী। তবে ওই নারীর নামধাম, পরিচয় কখনো সংবাদ মাধ্যমে জানাননি গোবিন্দ বা তার স্ত্রী সুনীতা।


তবে এক সাক্ষাৎকারে ঘটনাটি স্বীকার করেছিলেন গোবিন্দ। তখন তিনি বলিউডে সুপারস্টার হয়ে গেছেন। অভিনয়, নাচ সব মিলিয়ে বিনোদনের যাবতীয় মশলা ছিলো তার কাছে। গোবিন্দর অনুরাগীর সংখ্যাও ছিলো অসংখ্য। তারই একজন ছিলেন ওই নারী। অনুরাগীদের ভিড়ে মিশে না গিয়ে গোবিন্দর জীবনে বিশেষ একজন হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি।


গোবিন্দকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ওই নারী। যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে সুপারস্টার হওয়ার অনেক আগেই গোবিন্দ বিয়ে করেন। ১৯৮৭ সালে স্ত্রী সুনীতা তার জীবনে এসেছিলেন। কিন্তু তখনও গোবিন্দর বিবাহিত হওয়ার খবর ইন্ডাস্ট্রির কেউই জানতেন না। ক্যারিয়ারের স্বার্থে গোবিন্দই এই খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন। তা নিয়ে স্ত্রীরও কোনো আপত্তি ছিলো না।


গোবিন্দর বিবাহিত হওয়ার খবর ওই নারীও জানতেন না। তিনি গোবিন্দর বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে চলে যান। নিজেকে পরিচারিকা হিসাবে পরিচয় দেন। গোবিন্দ এবং তার মায়ের কাছে নিজের অসহায়তার কথা বলে পরিচারিকার কাজ পান। বাসন মাজার কাজ পেয়েছিলেন তিনি। গোবিন্দর প্রেমে এই কাজ মুখ বুঁজে করছিলেন তিনি।


কিন্তু তার কাজকর্ম গোবিন্দর মায়ের একেবারেই পছন্দ হচ্ছিল না। আসলে তিনি ঠিকমতো বাসন মাজতেই পারছিলেন না। এ রকমই চলছিলো। কিন্তু একদিন কোটিপতি বাবার সঙ্গে ওই নারীর কথোপকথন গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা শুনে ফেলেন। সন্দেহ হয় সুনীতার। গোবিন্দকে সব জানান তিনি।


তার পরই ওই নারীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন গোবিন্দ। আসল কারণ জানতে পারেন। ওই নারীর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বাড়িও পাঠিয়ে দেন। নারীর বাবা ছিলেন বিরাট ব্যবসায়ী। চার-পাঁচটি গাড়ির মালিক ছিলেন ওই নারী নিজেই।


তিনি ভেবেছিলেন, পরিচারিকা হয়ে ঢুকে গোবিন্দর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তারপর তাকে নিজের প্রকৃত পরিচয় দিয়ে প্রেম প্রস্তাব দেবেন। তা আর হয়ে ওঠেনি। বরং গোবিন্দ বিবাহিত জানতে পেরে প্রেমে আঘাত পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও গোবিন্দর বাড়িতে বাসন মেজে এতটুকু আক্ষেপ ছিলো না তার।


বিবার্তা/অনামিকা/বিআর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com