বাঁশের মাচায় বসে আছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মিশু সাব্বির। কলেজ শিক্ষার্থীর পোশাকে তার কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো। সেখানে ইরফান সাজ্জাদকেও একই পোশাকে কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো অবস্থায় পাওয়া গেলো। মজার বিষয় হলো, দু’জনের কপালেই রয়েছে নজর টিকা! কিন্তু দামড়া দুই ছেলের কপালে নজর টিকা দেওয়ার কারণ কী?
আর এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্নাহ। জানালেন, গত ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ‘হার নাকি জিতের’ শুটিং। মিরপুর ডিওএইচএস দুই নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে নাটকটির নির্মাণ কাজ চলছে। এটা নাটকের শুটিংয়েরই একটি অংশ।
গল্পে মিশুর চরিত্রের নাম রামীম আর ইরফানকে দেখা যাবে মুঈদের ভূমিকায়। সম্পর্কে তারা চাচাত ভাই হলেও বাবা-চাচার রেষারেষির জের ধরে তারাও একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। উভয়ের মধ্যে শিশুসুলভ আচরণ আছে বলে প্রতীকীভাবে নজর টিকা ব্যবহার করা হয়েছে। তারা পড়ে একই কলেজে। ইরফান ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র ও নম্রভদ্র। অন্যদিকে মিশু বাউন্ডুলেপনা করে বেড়ায়। এ কারণে পরীক্ষায়ও ফেল করে।
লেখাপড়ায় এগিয়ে থাকা মুঈদ ছাত্রজীবন শেষে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। আর রামীম হয়ে যায় চালের আড়তদার। কিন্তু চাচাত ভাইয়ের কাছে হারতে রাজি না সে। তাই মুঈদের ভবিষ্যৎ স্ত্রীর চেয়েও সুন্দরী একটি মেয়েকে বিয়ে করতে চায় সে। শুরু হয় পাত্রী খোঁজা। একসময় ঈশানার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তার। কিন্তু মুঈদের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক রয়েছে। এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।
‘হার নাকি জিত’ নাটক প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, ‘জীবনে জয়-পরাজয় থাকেই। কিন্তু পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবেই, এই বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এতে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্মিত হাস্যরসধর্মী নাটকটি লিখেছেন রাজিউল হোদা দীপ্ত। এতে আরও অভিনয় করেছেন কাজী উজ্জ্বল, রাইয়া প্রমুখ।’
বিবার্তা/জাকিয়া/যুথি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]