শিরোনাম
এইচএসসিতে পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১০:৪২
এইচএসসিতে পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ৫৮৬ জন পরীক্ষার্থী।


এর আগে বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন।


দুপুর সাড়ে ১২টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। বেলা ১টা থেকে পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবেন।


ফল মিলবে যেভাবে


মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd এ রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল ডাউনলোড করা যাবে।


(http://www. educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবেন। বরাবরের মতোই যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।


এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ই-মেইলে কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট (সফট কপি) পাওয়া যাবে।


শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্টারনেট বা মোবাইলের মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবে। যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।


জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ৫৮৬ জন


উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী। যা গতবার পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন। আর পাসের হার ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।


এ বছর ৯ হাজার ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ ছাত্র ও ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন ছাত্রী।


এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১ এপ্রিল। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন।


এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৮ হাজার ৪৫১ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন। মোট কেন্দ্র সংখ্যা ২ হাজার ৫৮০টি। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মে। আর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।


গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২ জন।


৭ দিন পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষার আবেদন


ফলে সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী ৭ দিন (১৮-২৪ জুলাই) পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।


ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে, তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেয়া হবে। আবেদনে সম্মতি থাকলে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য দেড়শ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে।


যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ৩০০ টাকা ফি কাটা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘,’ (কমা) দিয়ে লিখতে হবে। তবে অনলাইন ছাড়া কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।



বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com