শিরোনাম
দাবি আদায়ে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০১৯, ১৫:৫৪
দাবি আদায়ে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়নসহ চার দফা দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।


বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ আল্টিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে শুক্রবার দুপুর থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু।


তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উদাসীনতা দেখছি। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ না করা হলে আমরা আমরণ অনশন যাবো। এসময় তিনি চার দফা দাবি পেশ করেন।


দাবিগুলো হলো:


১. ছাত্রলীগের সাংগঠনিক প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দাবি।


২. ছাত্রলীগ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে ১৯ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করেছে, অবিলম্বে তাদের নাম পদসহ প্রকাশ করতে হবে।


৩. যারা পদবঞ্চিত হয়েছেন তাদের ভেতর থেকে যোগ্যতার বিচারে বিতর্কিতদের স্থানে পদায়ন করতে হবে।


৪. মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপদফতর সম্পাদক নকিবুল ইসলাম সুমন বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আপা (শেখ হাসিনা) বিতর্কিতদের বাদ দিতে নির্দেশনা দেয়ার পরেও তারা (ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) গড়িমসি করছেন, কালক্ষেপণ করছেন, যেটা ছাত্রলীগের একজন আদর্শিক কর্মী হিসাবে আমাদের ব্যথিত করে।


তিনি বলেন, আমার ধারণা বিতর্কিতদের বাদ দিলে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। আর সে ভয়ে তারা বিতর্কিতদের বাদ দিতে চাচ্ছে না।


তিনি আরো বলেন, আমরা অনেকটা বাধ্য হয়েই জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত করতে আমরণ অনশনের মত কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছি। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নিজেদের জীবন দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধু মুজিবের আদর্শিক সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত করবো।


সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগ এনে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এতে স্থান না পাওয়া কিংবা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।


এ নিয়ে পদবঞ্চিতরা দুইবার হামলার শিকার হন। এরপর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে আওয়ামী নেতাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে বিক্ষুব্ধরা। এরপর ২৯ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন। কিন্তু এ পদগুলোতে কারা বাদ গেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।


এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে ২৬ মে ফের অবস্থানে ফেরে বিক্ষুব্ধরা। দাবি আদায়ে তাদের সেই অবস্থান চলমান রয়েছে। যা আজ ৩৩তম দিনে পা দিয়েছে।


বিবার্তা/রাসেল/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com