শিরোনাম
চার দফা দাবিতে এবার ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধদের প্রতীকী প্রতিবাদ
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০১৯, ১৪:৫২
চার দফা দাবিতে এবার ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধদের প্রতীকী প্রতিবাদ
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়নসহ চার দফা দাবি আদায়ে এবার মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।


মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা এ প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।


প্রতীকী প্রতিবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপদফতর সম্পাদক নকিবুল ইসলাম সুমন বিবার্তাকে বলেন, আমাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিতর্কিতমুক্ত করতে নির্দেশনা দেয়ার পরও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠনকে বিতর্কিতমুক্ত করতে চায় না তাদের প্রতি ধিক্কার, ঘৃণা ও ক্ষোভ থেকে আমাদের আজকের এই মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতীকী প্রতিবাদ।


তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি অচিরেই বিতর্কিতদের বাদ না দেয়া হয়, তাহলে আমরা আমরণ অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।


ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী হাইকমাণ্ডের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আশা করি ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের শুভবুদ্ধির উদায় হবে। তারা আপার (শেখ হাসিনা) দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করবেন।



চার দফা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন বলেন, কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেয়া, যোগ্যদের কমিটিতে পদায়ন এবং মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দাবি আমাদের। এসব দাবিতে আমরা টানা ৩১ দিন ধরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি। কিন্তু ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে আমাদের কোনো খবরই নেয়া হয়নি।


ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইমদাদ হোসেন সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের পতাকা খামছে ধরেছে বিতর্কিত শকুনগুলো। আমরা বিতর্কিতমুক্ত ছাত্রলীগ চাই।


সম্মেলনের এক বছর পর ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবী ও বিভিন্ন মামলার আসামিসহ নানা অভিযোগ এনে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এতে স্থান না পাওয়া কিংবা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।


এ নিয়ে পদবঞ্চিতরা দুইবার হামলার শিকার হন। এরপর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে আওয়ামী নেতাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে বিক্ষুব্ধরা। এরপর ২৯ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করেন। কিন্তু এ পদগুলোতে কারা বাদ গেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।


এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে ২৬ মে ফের অবস্থানে ফেরে বিক্ষুব্ধরা।


তাদের দাবি, আগে বিতর্কিতদের নাম প্রকাশসহ সবাইকে সরাতে হবে। সেই জায়গায় ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দাবি আদায়ে তাদের সেই অবস্থান চলমান রয়েছে। যা আজ ৩১তম দিনে পা দিয়েছে।


বিবার্তা/রাসেল/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com