শিরোনাম
প্রশ্নপত্র ফাঁস
ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রস্তুত
প্রকাশ : ৩০ মে ২০১৯, ১১:৫২
ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রস্তুত
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দেড় বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।


এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের অনেকে বিরুদ্ধে তথ্য যাচাই কাজ চলছে। নাম ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।


বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিআইডি সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে করে এমন তথ্য জানান তিনি।


সিআইডি প্রধান বলেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করছিল। প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই টিম কাজ করে। টিমের সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম, কর্মদক্ষতা ও সুকৌশল পদ্ধতি প্রয়োগ করে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রকে চিহৃত করতে সক্ষম হয়।


তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ওই চক্রের মূলহোতাসহ ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৬ জন আদালতে অপরাধ স্বীকারর করে জবানবন্দি দিয়েছে। তবে বাকি আসামিরা এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


তিনি আরো বলেন, প্রশ্নফাঁসকৃত প্রশ্ন দিয়ে অনেকেই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নরত রয়েছেন। তাদের তালিকা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।


শফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত দুইভাবে প্রশ্নফাঁস চক্রটি কাজ করতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন যেই ছাপাখানা থেকে ছাপা হতো, চক্রের সদস্যরা সেই প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতো। এরপর পরীক্ষার আগের রাতে সেসব প্রশ্নের সমাধান বের করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করানো হতো। এছাড়া পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে দ্রুত তা সমাধান করে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে সরবরাহ করা হতো।


তিনি বলেন, ছাপাখানা থেকে প্রশ্নফাঁসকারী চক্রের সবাই চিহ্নিত হলেও ডিজিটাল ডিভাইস চক্রটিকে চিহ্নিত করতে তাদের বেগ পেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত গত বছরের বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল জালিয়াত চক্রটিকেও চিহ্নিত করার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রটির মাস্টারমাইন্ড হলো বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে ছিল ইব্রাহীম, মোস্তফা কামাল, হাফিজুর রহমান হাফিজ ও তাজুল ইসলাম।


সিআইডি প্রধান বলেন, প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতাদের অঢেল অর্থ-সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও তাদের কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে তাদের মোট ২০ কোটি টাকার নগদ ও সম্পদের হিসাব পাওয়া গেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মানিলন্ডারিং মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।


মামলার তদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে আশা করেন সিআইডি প্রধান।


সংবাদ সম্মলনে আরো উপস্থিত ছিলেনডিআইজি শাহ আলম, ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ, বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


বিবার্তা/খলিল/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com