বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিভিন্ন হোটেলে পচা, বাসি ও দুর্গন্ধযুক্ত খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান হাসিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ের দুটি হোটেলে পচা ও বাসি খাবার বিক্রি করে।
তিনি বলেন, সাহ্রি'র সময় 'সজিব হোটেল' থেকে আমিসহ আরো চারজন মুরগী, গরু ও ডালের একটি খাবারের পার্সেল কিনি। হলে এসে মুরগীর প্যাকেট খোলার পর বাজে গন্ধ বের হয়। বাসি ডাল দিয়ে দোকানদার বলে ডালে আম দেয়ার কারণে ডাল টক হতে পারে। আগের দিনের রান্না করা মুরগী আজকের সাহ্রির বলে বিক্রি করে দিচ্ছে এভাবেই। এ খাবার খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, হলগুলোর ডাইনিং বন্ধ থাকার কারণে ক্যাম্পাসের ভিতরের হোটেলগুলোতেই আমরা প্রতিনিয়ত খাবার খেয়ে থাকি। ক্যাম্পাসের মদিনা, বিসমিল্লাহ, ভাই ভাই, মিলন, চাঁদনিসহ প্রায় প্রতিটি হোটেলের চিত্র একই রকম। এ ধরনের নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের খাবার প্রস্তুত ও চড়া দামে বিক্রি হলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি চোখে পড়ে না। অবহেলা ও সুষ্ঠু নজরদারির অভাবে হোটেল মালিক, কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে খাবারের মান খারাপ হলেও দাম দিনের পর দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজিব হোটেলের মালিক রুবেল হোসেন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আসলে মামা ঘটনার ওই রাতে আমাকে না জানিয়ে হোটেলের কর্মচারীরা টক ডাল কাস্টমারের কাছে বিক্রি করেছিল। আগে এমনটা কখনই ঘটে নাই, ভবিষ্যতে এমনটা আর হইব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, হোটেলগুলোর খাবারের মান উন্নয়ন ও ভেজাল ঠেকাতে রমজানের শুরুতে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছি। পরবর্তীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে হোটেলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিটি হোটেলে খাবারের মূল্যতালিকা টাঙ্গানোর জন্য হোটেল মালিককে আমরা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি।
বিবার্তা/রাকিবুল/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]