শিরোনাম
ধানসহ সকল কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : ১৫ মে ২০১৯, ১৭:৩২
ধানসহ সকল কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য দাবিতে মানববন্ধন
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ধানসহ সকল কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, কৃষিখাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি প্রদান ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশ নেন ডাকসু ভিপি ও সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর, সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান,যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান,ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনসহ সংগঠনটির একাধিক নেতৃবৃন্দ।


মানববন্ধনে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা যাদের উৎপাদিত দ্রব্যের উপর জীবিকা নির্বাহ করি, যাদের উৎপাদনে আমরা দু বেলা খেতে পারি আজ তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্য দেয়া হচ্ছে না! আশ্চর্যের বিষয় আমাদের মন্ত্রীরা বলছেন অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণে ধানের দাম কমে গেছে কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি চালের দাম ঠিকই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেট রয়েছে যারা এই দাম হ্রাস বৃদ্ধির হোতা।


তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ ও দাবি জানাই অবিলম্বে কৃষকদের প্রতি এই অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং যারা এই সিন্ডিকেটের লাগাম ধরে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক।


ডাকসু ভিপি বলেন,খুলনায় পাটকল শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। সেখানে সরকার বাঁধা দিয়েছে। কোনো শ্রমিক সংগঠন বা সরকার তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষের পালস বোঝে না। আমরা কৃষকসহ সকল শ্রমিক, মেহনতি মানুষের পাশে আছি। প্রয়োজনে তাদের অধিকার রক্ষায় পাশে থাকবো। এজন্য প্রয়োজনে লংমার্চ করা হবে।


এসব সমস্যা সমাধানের আহবান জানিয়ে ডাকসু ভিপি আরো বলেন, ঈদের আগেই পাটকল ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে হবে। কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে। ছাত্র সমাজকে দাবায়ে রাখতে পারবেন না। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে ছাত্রসমাজ মাঠে নামবে।
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্র, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। একমণ ধানের দাম ৪৫০-৫০০ টাকা। এই ধান থেকে চাল হয় ১২০০ টাকার। ৭০০ টাকা তারা খেয়ে ফেলছে। সিন্ডিকেট এই টাকা মেরে দিচ্ছে। অথচ বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে ধান উৎপাদন পর্যন্ত কৃষকদের কি পরিমাণ কষ্ট করতে হয়, তা আমরা জানি। এর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার দায় রাষ্ট্রের।


মানববন্ধনে নিজেদের দাবি জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সরকারের নিকট আমাদের কিছু দাবি রয়েছে। খরচ অনুযায়ী কৃষকের ধানের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরাসরি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি দিয়ে কম মূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। হয়রানি এবং ঝামেলা মুক্তভাবে কৃষিঋণ দিতে হবে।


উল্লেখ্য,সম্প্রতি ধানের মূল্যের অস্বাভাবিক হ্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে পুরো দেশবাসী। এ নিয়ে কৃষকরা ধানে আগুন দেয়া ও রাস্তায় ধান ছিটিয়ে দেয়াসহ নানান প্রতিবাদ জানিয়েছেন।


বিবার্তা/রাসেল/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com