শিরোনাম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮ সঙ্কট চিহ্নিত
প্রকাশ : ০৪ মে ২০১৯, ১৭:২৪
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮ সঙ্কট চিহ্নিত
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আটটি সঙ্কট চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।


শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সঙ্কট তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি এসব সঙ্কট নিরসনে ৬টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।


গত ১১-১২ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই: উচ্চশিক্ষা, নীতিমালা, কাঠামো’ শীর্ষক কনভেনশনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।


সামিনা লুৎফা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক মানের অবনমন ঘটেছে বলে একটি ধারণা ধীরে ধীরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলীয় রাজনীতি শিক্ষাগত মানের ওপরে প্রভুত্ব করছে। অল্প কয়েকটি বাদ দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল সনদ বিক্রির ভবনে পরিণত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কনভেনশনের আয়োজন করে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।’


বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮টি সঙ্কট চলমান উল্লেখ করে সেগুলো তুলে ধরেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের উত্থাপিত সঙ্কটগুলো হলো- সরকারি কর্তৃত্ব; ইউজিসির কৌশলপত্রের কারণে সান্ধ্যকোর্স, বৈকালিক কোর্স, বিশেষ প্রোগাম চালু; স্বায়ত্তশাসনের অপব্যবহার; শিক্ষায় জিডিপির তুলনায় কম বরাদ্দ ও গবেষণায় তহবিল বরাদ্দ না থাকা; অস্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত; শিক্ষক নিয়োগে দলীয় বিবেচনায় ভোটার বৃদ্ধির প্রবণতা; ছাত্ররাজনীতির নামে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ এবং মুনাফামুখী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কারণে মান অর্জনে ব্যর্থ হওয়া।


সংবাদ সম্মেলনে এ সব সঙ্কট সমাধানে ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেন অধ্যাপক ফাহমিদুল হক। এক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্র কর্তৃক সমাধান, ইউসিজির কৌশলপত্রে পরিবর্তন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আইনের সংস্কার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যদূরীকরণ, পাঠদান ও গবেষণায় জবাবদিহিতার ব্যবস্থা, ভর্তি ও নিয়োগে পরিবর্তনের কথা বলেন।


অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, দলগত ও আঞ্চলিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগে পাস করা শিক্ষার্থীদের ওই বিভাগে চাকরি দেবার প্রবণতা বদলাতে হবে।


এ সময় তিনি ইউসিজির চলমান কৌশলপত্রের বিপরীতে পাল্টা কৌশলপত্র প্রণয়ন ও ১৯৭৩ এর আদেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে, তার আলোকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন ও জ্ঞানমুখী পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/রাসেল/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com