শিরোনাম
জবির ‘ফুসফুস’ বোটানিক্যাল গার্ডেন
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ২০:১৯
জবির ‘ফুসফুস’ বোটানিক্যাল গার্ডেন
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘অক্সিজেন’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বোটানিক্যাল গার্ডেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা বোটানিক্যাল গার্ডেন থাকলেও প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বোটানিক্যাল গার্ডেন এক অন্যরকম সৌন্দর্যে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ১০০ প্রজাতির উদ্ভিদ এই গার্ডেনে গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের সংখ্যাও।


বর্তমানে বোটানিক্যাল গার্ডেনে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের ওয়াটার বডির মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। পাশাপাশি অধিকতর গবেষণার জন্য সেখানে আলোবাতাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ নির্মাণের কাজ চলছে। আলো বাতাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ নির্মাণ করা গেলে সেখানে ওষুধি গাছের উপর গবেষণা করা হবে। যদিও বর্তমানে বিভাগটির গার্ডেনে কিছু কিছু ওষুধি গাছের উপর স্বল্প পরিসরে গবেষণা হচ্ছে। যেহেতু জায়গা কম তাই ব্যাবহারিক কাজে ব্যবহৃত উদ্ভিদগুলোই এখানে রাখা হয়েছে। তাছাড়া যে উদ্ভিদগুলো দুর্লভ কিংবা বিলুপ্ত প্রায় সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (কলা অনুষদ সংলগ্ন) পাশে উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শন দেশের স্বল্প আয়তনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প আয়তনের বোটানিক্যাল গার্ডেন। গার্ডেনটির সীমানা প্রাচীর শক্তিশালী করা হয়েছে। পাশাপাশি গার্ডেনটির সামান্য আয়তনও বাড়ানো হয়েছে।


বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে দুই বছরের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিসর বৃদ্ধি করতে সম্প্রতি কলা অনুষদের কাঁঠাল তলার পাশে (বোটানিক্যাল গার্ডেনের উত্তর পাশে) পাশের কিছু জায়গা বরাদ্দ চেয়েছিল ওই বিভাগ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ছোট হওয়ার অজুহাতে প্রশাসন সেটিকে উদ্ভিদ বিভাগকে দেয়নি। তবে জায়গাটিতে বর্তমানে শিক্ষকরা ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিং করছেন। গাড়ি পার্কিং করার কারণে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্বল্প পরিসরের বিচরণের স্থান নষ্ট করার অভিযোগ ওঠেছে।


উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের তিতাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছোট পরিসর অনুযায়ী কাজ চলে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জে ক্যাম্পাস হলে অপূর্ণ কাজ গুলো পূর্ণ হবে। আমরা এমনিই অনেক দিক থেকে বঞ্চিত এর পর এই সামান্য বোটানিক্যাল গার্ডেন এর জায়গাটি যদি আরেকটু বড় করা যেতো তবে আমরা আরো বেশি উপকৃত হতাম। এছাড়া বর্তমানে জায়গাটিতো খালি পরেই আছে।


জানতে চাইলে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতাউল গনি বলেন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল একটি বোটানিক্যাল গার্ডেনের। এ বিষয়টিকে আমরা বাস্তবায়ন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এটাকে আরো বড় করা সম্ভব হবে।


হেকেপ প্রকল্পের উদ্ভিদ বিভাগের ডেপুটি সাব প্রজেক্ট ম্যানেজার সহকারী অধ্যাপক এএমএম গোলাম আদম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছোট পরিসরে এ বোটানিক্যাল গার্ডেনটির পরিপূর্ণতা আনায়নের। হেকেপ প্রকল্পের মাধ্যমে এর উন্নয়ন কাজ চলছে। আমাদের গার্ডেনের কোনো আকৃতি ছিল না। আমরা চেষ্টা করছি একটি আকৃতিতে নিয়ে আসা। গবেষণার জন্য বিভিন্ন প্লান্ট স্থাপন, ডার্ক রুম, স্টোর রুম করা হচ্ছে। পাশাপাশি গার্ডেন মেইন টেইনের জন্য একটি রুম নির্মাণ করা হবে।


বিবার্তা/আদনান/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com