বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন নব উল্লাসে মেতে উঠেছে কোটি বাঙালির হৃদয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পুরান ঢাকা বিভিন্ন সড়ক (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ওয়াইজ ঘাট, আহসান মঞ্জিল, মুন কমপ্লেক্স, পাটুয়াটুলী, বাটা ক্রসিং) শেষে আবারো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ করে। এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশের পরিবর্তে মাছের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়। এছাড়াও শুশক, বজরা, ডিঙ্গি, ময়ূরপঙ্খী নৌকা, নৌকা বাইচের প্রতিকৃতি স্থান পায়।
পহেলা বৈশাখের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য বলেন, ‘‘বাংলাদেশ একটি নাম- যার পিতা বঙ্গবন্ধু, যার মাতা নদী। এদেশের ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা, যমুনা। আগে স্লোগান হতো ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। আমরা এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমাদের স্লোগান রেখেছি, ‘নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। আর মূল থিম ছিল ‘নদী’। আমরা বাঙালিত্ব ধারণ করে আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের দারিদ্রসীমা কমে যাচ্ছে, মানুষ দিন দিন ধনী হচ্ছে তবে এখন যে অপশক্তি আমাদের ওপর ভর করেছে, তাতে মনে হয় মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে।’
ফেনীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে মারা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ফেনীর যে ঘটনা তা মেনে নেয়ার মতো নয়। কারণ এতো কম বয়সী একজন মেয়ের ওপর সমাজের উচ্চস্তরের মানুষেরা যে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা মানবিকতার সর্বনিম্ন স্তরকেও হার মানায়।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জবি ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিপীকা রাণী সরকার, সাধারণ সম্পদক ড. নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।
বিবার্তা/আদনান/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]