শিরোনাম
বেরোবির একাডেমিক প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৮:৪৯
বেরোবির একাডেমিক প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল
বেরোবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নিজস্ব দফতরে অনুপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার। একই সাথে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় এবং উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে।


কর্মকর্তাদের দাবিগুলো মেনে না নেয়ায় এবং তাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় ৬ষ্ঠ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন কর্মকর্তারা। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আমিনুর রহমানকে অব্যাহতি, ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফাকে সংস্থাপন শাখা থেকে অন্য দফতরে বদলি সহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার কর্মবিরতির ৬ষ্ঠ দিনে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার দফতরের সামনে অবস্থান নেয় তারা।


কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো পদোন্নতি কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ অবিলম্বে সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদোন্নতি বোর্ড হয়নি তাদের বোর্ড দ্রুত সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদবী বদল করা হয়েছে তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা, সরকারি নিয়মে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম প্রস্তুত করা, প্রতিটি দপ্তরকে নিজস্ব কাজ বুঝিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক ভবনে কক্ষ বরাদ্দের নিমিত্তে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে জ্যেষ্ঠতার নীতি অবলম্বন করা, ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করা, হয়রানিমূলক বদলীকৃত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দফতরে পুনর্বহাল করা, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে স্বতন্ত্রতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অধীনস্থ কর্মকর্তার নজরদারি বন্ধ করা।


এ বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির আজ ৬ষ্ঠ দিন চলছে। এই চারদিনে রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্য মহোদয় আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আশ্বাস দেননি এমন কি রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্য কর্মবিরতির শুরুর দিন থেকে নিজস্ব দপ্তরে পর্যন্ত আসেননা। এমতাবস্থায় আমাদের যৌক্তিক ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।


এদিকে কর্মচারীদের দাবিগুলোর ব্যাপারে কোন আশ্বাস না পেয়ে ৩য় দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে কর্মচারী ইউনিয়ন (৪র্থ শ্রেণি)। ১০ দফা দাবি আদায়ে কর্মবিরতির ৩য় দিনে সোমবার সকাল ১০ টা থেকে ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল চত্বরে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।


কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামী সিন্ডিকেটের আগে কর্মচারীদের নীতিমালা পাশ, চলতিমাসেই ৫৮ জনকর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া পরিশোধ, দ্রুত পেনশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল, দূরের কর্মচারীদের জন্য গাড়ি ও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার করা, কর্মচারী নিয়োগ কমিটিতে কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখা ও মাস্টারোল কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করা।


কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে এখনো উপাচার্য মহোদয় কোন আশ্বাস দেননি। তাই যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমাদেও সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।


সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কমিলমউল্লাহ এবং রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামালের মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।


বিবার্তা/শিপন/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com