শিরোনাম
জাককানইবিতে জাল সনদে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের অভিযোগ
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪৩
জাককানইবিতে জাল সনদে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের অভিযোগ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জাল সনদে সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষাগতভাবে যোগ্য না হওয়ার পরও চারুকলা বিভাগে (প্রিন্ট মেকিং) পদে নিয়োগদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগদানের এসব সুপারিশ করেন নিয়োগ কমিটি।


নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন বিশেষজ্ঞ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগের অধ্যাপক নিসার হোসেন, বিশেষজ্ঞ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকন ও চিত্রায়ন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. রফিকুন নবী, সদস্য জাককানইবি-এর চারুকলা বিভাগের ডিন ও বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. একেএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাককানইবি-এর ট্রেজারর অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম।


জাককানইবিতে সহকারী অধ্যাপক পদে মো. শাফিন ওমরকে ২০০৯ সালে ২৩ ডিসেম্বর নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন এই নিয়োগ কমিটি। নিয়োগের শর্ত মোতাবেক তিন বছরের অভিজ্ঞতার চাওয়া হয়। নিয়োগ কমিটির কাছে তিনি অভিজ্ঞার দুইটি জাল সনদ দাখিল করেন। সনদটির ইস্যু তারিখের আগেও সত্যায়ন করা হয়েছে। তিনি একই সময় দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলট্রানেটিভে (ইউওডিএ) কাজ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাপ্ততথ্য থেকে জানা যায়, একই ব্যক্তি একই সময়ে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।


৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মো. শাফিন ওমরকে দেয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্রটি দেয়া হয় ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর বলে উল্লেখ করা হয়। আর এই সনদটি সত্যায়ন করা হয় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। যা ইস্যু তারিখের তিন দিন আগে। এছাড়া ইউওডিএ থেকে দেয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্রটিও দেয়া হয় ২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর বলে একইভাবে উল্লেখ করা হয়। আর এই সনদটি সত্যায়ন করা হয় ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। যা ইস্যু তারিখের তিন দিন আগে। অভিযোগপত্রের সাথে মো. শাফিন ওমরকে দেয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্রগুলোর সত্যায়ন ও ইস্যু তারিখের সাথে গড়মিল পাওয়া যায়। এরপরও এই নিয়োগ কমিটি তার নিয়োগদানের জন্য সুপারিশ করেন।


অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চারুকলা ভাগে (প্রিন্ট মেকিং) বিভাগে নিয়োগের জন্য স্নাতকসহ (সম্মান) মাস্টার্স ডিগ্রি চাওয়া হয়। কিন্তু এই পদে প্রি-ডিগ্রির সম্মানের সনদধারী নগরবাসী বর্মণকে নিয়োগ দেয়া হয়। যা বিধি সম্মত নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এসবের পিছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগের অধ্যাপক নিসার হোসেন দায়ী বলেও উল্লেখ করা হয়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগের অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ রেজিস্টার, সিন্ডিকেট বোর্ডের। বিশেষজ্ঞ সদস্য দেখেন; প্রার্থী কাজের যোগ্য কিনা। তাদের কাজের দক্ষতা দেখে যোগ্য মনে হয়েছিল। তাই তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। নিয়োগ দেয়ার কাজ আমাদের নয়; নিয়োগ দেন সিন্ডিকেট বোর্ড।


বিবার্তা/আকবর/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com