শিরোনাম
জাবিতে শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:২১
জাবিতে শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
সাভার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রত্নতত্ত্ব, চারুকলা এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের গত ৮ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অস্থায়ী প্রভাষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র গাজী ইব্রাহিম আল মামুন ও মো. শহিদুল ইসলামের দায়ের করা রিটের বিপরীতে এই আদেশ দেয় হাইকোর্ট।


বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ উল্লেখিত বিভাগসমূহের সকল নিয়োগ কার্যক্রম আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে। এছাড়া, প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে জানতে চেয়ে হাইকোর্টের উক্ত দ্বৈত বেঞ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, উপাচার্য-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রেজিস্ট্রার- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি বরাবর রুল জারি করে।


জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ১টি, প্রত‌নতত্ত্ব বিভাগে ২টি, চারুকলা বিভাগে ১টি এবং সরকার ও রাজনীতি ২টি অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীর এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি উভয় ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ১ম বিভাগ ও গ্রেডিং পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার জন্য জিপিএ ৪.২৫ এবং মানবিক শাখার জন্য জিপিএ ৪.০০ এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ১ম শ্রেণি ও গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।


তবে, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২ মার্চ ২০১০ তারিখে জিপিএ ৩.০০ বা তার বেশি কে সনাতন পদ্ধতিতে প্রথম বিভাগ, জিপিএ ২.০০- ৩.০০ এর কম দ্বিতীয় বিভাগ এবং জিপিএ ১.০০-২.০০ এর কমকে তৃতীয় বিভাগ বলে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়। কিন্তু এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে উক্ত নীতিমালা অনুসরন করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


এব্যাপারে রিট আবেদনকারী শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে যে জিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে একই জিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে না ফলে আমি মনে করছি আমার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়া ২০১০ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন ও লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মনে করছি।’


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘আমি শুনেছি এমন একটা আদেশ এসেছে, তবে বিস্তারিত জানি না।’


বিবার্তা/শরীফুল/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com