শিরোনাম
রাবির ৫০ বছরের ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৪০
রাবির ৫০ বছরের ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন
রাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সার্বিক সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী ৫০ বছরের জন্য প্রস্তাবিত একটি ‘মাস্টার প্লান’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেও তথ্য সংরক্ষণে আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা, গবেষণা জালিয়াতি রোধে প্লেগারিজম সফটওয়্যার, মিডিয়া সেন্টার স্থাপন, একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন, ৩৬৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজসহ বেশ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে মাস্টার প্ল্যান কমিটির আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান, মাস্টার প্ল্যান কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া।


প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৬২ সালে একটি মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সব প্লানের এখন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথভাবে ক্যাম্পাসের কর্মকাণ্ডকে সুচারু রূপে তুলে ধরা হবে। আর এ জন্যই মাস্টার প্ল্যানে মিডিয়া সেন্টারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসময় তিনি এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন।


অনুষ্ঠানে জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর ড. প্রভাষ কুমার কর্মকারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ ড. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ প্রমুখ।


মতবিনিময় পর্বে মাস্টার প্ল্যান কমিটির সদস্য ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রেজাউর রহমান বলেন, ৫০ বছরের মাস্টার প্ল্যানটিকে তিন ক্যাটাগরিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রথমত ২০১৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী, দ্বিতীয়ত ২০২৪ থেকে ২০৪৩ পর্যন্ত বিশ বছর, এবং ২০৪৩ থেকে ২০৬৭ পর্যন্ত ২৫ বছর মেয়াদী ৬টি জোনে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পরিকল্পনা করা হয়েছে।


এগুলো হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন, ক্রীড়া, একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোন ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন জোনের পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা।
এছাড়াও মাস্টার প্লানে রয়েছে, বিজ্ঞান জাদুঘর, প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর, সীমানা প্রাচীর সংস্কার, আধুনিক পরিবহণ গ্যারেজ ও যাত্রী ছাউনি এবং তৃতীয় প্রশাসন ভবন স্থাপন করা হবে।


এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. লায়লা আরজুমান বানু, ডিনবৃন্দ, সিনেট সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ।


বিবার্তা/পাভেল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com