কেবল বাংলাদেশই সকালবেলা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে এবং মৃত্যুহারও বেশি। পৃথিবীর আর কোথাও এমনটি দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট গবেষক ও ভূগোলবিদ অস্ট্রেলিয়ার কার্টাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. আশরাফ দেওয়ান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আয়োজনে বজ্রপাত নিয়ে একটি সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিভাগের সেমিনার রুমে আয়োজিত এ সেমিনারে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাদেরের শুভেচ্ছা বক্তব্যে শুরু হওয়া সেমিনারে কিনোট স্পিকার প্রিজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখান যে, বাংলাদেশে বজ্রপাতের বিষয়টি ঘটে সকাল বেলা। যা পৃথিবীর আর কোনো দেশেই ঘটে না। বজ্রপাতের ক্ষেত্রে কঙ্গো বেসিন, দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় মৌসুমী জলবায়ুর আগে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে মে মাসে। বিশেষ করে মে মাসে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার অন্য সব মাসের চেয়ে বেশি। এছাড়া বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে বজ্রপাত বেশি হয়ে থাকে। এজন্য সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে বজ্রপাতের পরিমাণ এবং মৃত্যুর পরিমাণও বেশি। এছাড়া মৌসুমী জলবায়ুতে রাজশাহী অঞ্চলে এবং মৌসুমী জলবায়ুতে পাহাড়ি অঞ্চলে বজ্রপাত বেশি দেখা যায়।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরান হোসেনের সভাপতিত্বে বিষয়ের উপর আলোজনায় অংশ নেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিতাই দে সরকার।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, সাবেক ডিন ড. জাকারিয়া মিয়া এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিবার্তা/আদনান/কাফী