ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের অধীনে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ফের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান কমিটি গঠনের বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, সিন্ডিকেট সদস্য বজলুল মজনুন চুন্নু, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।

এরআগে গত ১২ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার ৭২টি প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। যার প্রমাণ সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে।

তবে, এ অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সরাসরি অস্বীকার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। আর তখনই উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাকসুদুর রহমান। আর এ তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের আগে আজকে (সোমবার) আবার পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হলো।

প্রসঙ্গত, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের বিষয়টি সমাধান না হতেই গত ১৬ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আর এ ঘটনায় চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আখতার হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী ‘ঘ’ ইউনিটের ফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে টানা ৫৪ ঘণ্টা অনশন করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ‘ঘ’ ইউনিটের ফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ করেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরও ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। আর এ অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করলেও একবছরেও সে কমিটি তদন্ত শেষ করতে পারেনি।

বিবার্তা/রাসেল/কাফী