শিরোনাম
‘কোটার সংস্কার চেয়েছি, বিলুপ্তি নয়’
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৪৭
‘কোটার সংস্কার চেয়েছি, বিলুপ্তি নয়’
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার না করে বাতিলের ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।


তারা বলেছেন, আমরা কোটার সংস্কার চেয়েছি, বিলুপ্তি নয়। এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেয়া যাবে না।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাকারের সামনে রবিবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেন। কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহবায়ক হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, আমরা সব সাধারণ ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করি, তাই আমরা সব সময় পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছি। আমরা কখনোই কোটার বাতিল চাইনি। তাই এ বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।


তিনি বলেন, এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেয়া যাবে না। বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। সেইসঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।



লিখিত বক্তব্যে মামুন আরো বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সব সরকারি চাকরিতে পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কার না করে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করেছে।


এ সময় তিনি কোটা আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া সব শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি করেন এবং যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান।


মামুন বলেন, ছাত্রসমাজের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক যেসকল মামলা করা হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং আন্দোলনকারীদের উপর হামলাকারীদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশের জোর দাবি জানাচ্ছি।


সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর, ফারুক হোসেন, আতাউল্লাহ, জসিম উদ্দিন আকাশ, মশিউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


সরকারি চাকরিতে প্রবেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই দিন থেকেই মুক্তিযোদ্ধা ও উপজাতি কোটা বহাল রাখার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও আদিবাসী ফোরাম।


বিবার্তা/রাসেল/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com