ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানোর সময় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন। আর এ লাঞ্চনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন তার নিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক সায়ন্তী হায়দার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক কাজী মারুফ হাসান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা সহ সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এসময় অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, যৌক্তিক দাবি শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের। এ দাবি সরকার মেনে নিয়ে একটা কমিটিও গঠন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কেউ কথা বলতে পারছে না। বাকরুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রেসক্লাবে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দাঁড়িয়েছিল। সেখানে পুলিশ কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি। এটা কোন আইনে কিভাবে কবে বন্ধ হলো আমরা জানি না! দাঁড়িয়ে কথা বলা যাবে না, এটা কবে বন্ধ হয়েছে, তাও জানি না!
দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর করা হচ্ছে উল্লেখ করেন এই শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের নিজেদের ক্যাম্পাসে শান্তিতে থাকতে পারে তার জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর আগে যত দাবি আদায় হয়েছে সব আন্দোলনের মাধ্যমেই হয়েছে। তাই কণ্ঠ যেন কেউ রোধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক কাজী মারুফ হাসান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারী মিলে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বাস। কিন্তু গুটি কয়েকজন ছেলে একেক জনকে মারছেন, বিনা দোষে পুলিশে দিচ্ছে অথচ আমরা কেউ কিছু বলছি না। কারণ এখানে পরিবেশ মৃত্যুপুরীতে রুপান্তরিত হয়েছে। এই মৃত্যুপুরী থেকে উদ্ধার হতে হবে।’
কাজী মারুফ হাসান আরো বলেন, ‘এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যারা হামলা করছেন তারা ভুলে যাবেন না যে, আপনারা ভুল করছেন। যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা থাকবে না। এক সময় সবাই জেগে উঠবে।’
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
বিবার্তা/রাসেল/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]