সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুরসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সহিংসতা ও পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে দুই দিনের তা প্রত্যাহার করা না হলে আবার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। এতে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও ফারুক হাসান।
আন্দোলনকারী ও নেতাদের হযরানি করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। একইসঙ্গে উপাচার্যের বাসায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
ফারুক হাসান বলেন, আমরা যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি, আমাদের বিরুদ্ধে আজ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাদের ছাত্রদল,
ছাত্রশিবির বানানো হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। অন্যথায় বাংলার ছাত্রসমাজকে দাবায়ে রাখতে পারবেন না।
ফারুক আরো বলেন, গতকাল দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় আমরা যে চারজন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি, তাদেরকে শিবির বানিয়ে নিউজ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। আমরা কেউ শিবিবের সাথে সম্পৃক্ত নই। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্দোলন শুরু হওয়ার পরে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। তার কারণ হলো আমরা অন্য কোন উদ্দেশ্যে আন্দোলন করছি কিনা। অন্য কোন উদ্দেশ্য না পাওয়ায় আমাদেরকে কেউ বাধা দিতে পারেনি। আজকে আমাদের আন্দোলন সফল হওয়ার পর আমাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চলছে।
ফারুক আরো বলেন, আজকে বিকেল ৫ টার মধ্যে যদি ইত্তেফাক পত্রিকা তাদের নিউজ প্রত্যাহার করে ছাত্রসমাজের কাছে ক্ষমা না চায়, তাহলে আমরা কালকে থেকে সারাদেশে ইত্তেফাক পত্রিকা বর্জন ঘোষণা করলাম।
আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তাছাড়া আমি ঢাবির হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সহ সভাপতি। অথচ আমাকে ও বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করা হচ্ছে।
মামুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু বলার আগে আমার এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নেন।
আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, যারা উপাচার্যের বাসায় হামলা করেছে। তাদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
নূর আরো বলেন, আন্দোলনকারীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যুগ্ম আহ্ববায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়েছে আমি নাকি ২০১২ সালে হল ছেড়েছি। অথচ আমি ভর্তির হয়েছি ২০১২-২০১৩ সালে। আর ক্লাস শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। তাহলে আমি কিভাবে ২০১২ সালে সূর্যসেন হলের ৫১২ নম্বর রুমে থাকি? এছাড়া প্রতিবেদনে আমার বাবার নামও ভুল করা হয়েছে। আমার বিপক্ষে দেওয়া সব বক্তব্যই মিথ্যা আপনারা প্রমাণ দিন এসব তথ্যের।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ কোটা সংস্কার দাবিতে সোচ্চার ঢাবি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/রাসেল/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]