শিরোনাম
জবি'র পূজা কমিটিতে বহিষ্কৃত ছাত্র
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:৫০
জবি'র পূজা কমিটিতে বহিষ্কৃত ছাত্র
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সরস্বতী পুজা যথাযথভাবে পালন করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) প্রতি বছরের মতো এবারও ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে পূজা কমিটি গঠন করা হয়। তবে এবার পূজা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদের পদে স্থান পেয়েছে জবি থেকে বহিষ্কৃত সুজন দাস অর্ক।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রলীগও বহিষ্কার করে সুজন দাস অর্ককে। জবি টিএসসিতে দোকান বসিয়ে চাঁদা আদায় এবং সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।


অথচ সেই অর্ককে জবি পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ কমিটির অন্য নেতারা। গত বছরের ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জবির ফিন্যান্স বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুজন দাস অর্ককে বহিষ্কার করা হয়।


এরপর গত বছরের ১৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, জবি টিএসসিতে মহিউদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চাওয়া, তাকে মারধর, পরে শিক্ষক লাউঞ্জের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত করা, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আহত করার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে জবি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এই চারজনের মধ্যে ফিন্যান্স বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুজন দাস অর্ক অন্যতম।


পূজা কমিটির বর্তমান সদস্যদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, চাঁদার টাকা ভাগাভাগির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত কাউকে এমন মহতী কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা ঠিক হয়নি।


এ বিষয়ে জবির 'ছাত্রছাত্রী সমন্বয়ে গঠিত পূজা কমিটি'র সভাপতি ঋতিক রায় বলেন, সুজন দাসকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে তা তুলে নেয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, পূজা কমিটির সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে কেউ বহিষ্কার থাকলেও পূজা কমিটিতে পদ পেতে তার কোনো সমস্যা নেই।


বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি স্বীকার করে সুজন দাস অর্ক বলেন, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কারাদেশ দিয়েছিল। তবে তা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সংঘর্ষের সেই ঘটনায় আমি ৭২ ঘণ্টা আইসিইউতে ছিলাম। আমি ভিকটিম থাকায় তা তুলে নেয়া হয়েছে।


এদিকে জবির কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. অরুণ কুমার গোস্মামী বলেন, কিছু শিক্ষার্থী এসে একটি কমিটি থাকার কথা বললে আমি তাতে স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু কার নাম ছিল তা আমার জানা নেই। সুজন দাস অর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমার জানা ছিল না। প্রশাসন থেকে আমাকে জানানো হয়নি। তবে এরকম কিছু ঘটে থাকলে সমাধানের চেষ্টা করব।


বিবার্তা/আদনান/শাহনেওয়াজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com