শিরোনাম
অনুদান পেয়েও অচল জবির সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৮, ১৬:৩৪
অনুদান পেয়েও অচল জবির সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে হাতেগোনা সাতটি। তবে এসব সংগঠনগুলোর বর্ষব্যাপী চোখে পড়ার মত কোনো কার্যকলাপ ও অগ্রগতি নেই। যদিও প্রতি বছরই এসব সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুদান পেয়ে থাকে।


সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করার তেমন কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না এই সংগঠনগুলো। শিক্ষার্থীরা মনে করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে সে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সার্বিক অবস্থাকে তুলে ধরা। সেখানে যদি স্থবিরতা চলে আসে তবে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় মানে শুধু পড়াশোনা নয়; বরং সংস্কৃতি বিকাশেরও জায়গা।


বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস পাভেল বলেন, আমাদের কার্যক্রম সঠিকভাবেই চলছে। আমরা নিয়মিত কর্মশালা করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে সবার মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে দেশের খ্যাতনামা চলচ্চিত্রকাররা আমাদের চলচ্চিত্র সংসদ দেখে গেছেন ও দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।


বছরে মাত্র একবার কেন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয় জবিতে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পাভেল বলেন, বছরে একবার যে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হয় সেটা আমাদের ফিল্ম-ফেস্টিভ্যাল (চলচ্চিত্র উৎসব)।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলচ্চিত্র সংসদের অনুদানের বিষয়ে পাভেল বলেন, আমাদের জন্য আসলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত অনুদানের পরিমাণ অনেক কম হয়ে যায়। যেখানে আমাদের ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন হয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে সেখানে পেয়ে থাকি মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জবির উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি শাহেদুল ইসলাম কবির বলেন, আমরা পিছিয়ে নেই। উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান সময় মত হয়ে থাকে। তবে আমাদের গতিশীলতা কিছুটা কমে যাওয়ার কারণ রয়েছে অনেক। প্রায় সময়ই দেখা যায় যারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে তাদের ক্লাস, মিডর্টাম, সেমিস্টার পরীক্ষা থাকে এবং রিহার্সালের জন্যও সময় দিতে পারেন না। তাছাড়া আমাদের ছোট ক্যাম্পাসে জায়গার সংকটও রয়েছে। চাইলেই শিল্পীদের নিয়ে বাইরে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয় না।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংসদের সভাপতি নাভিদুল হাসান বলেন, আমাদের আবৃত্তি সংসদের কার্যক্রম সঠিক ধারাতেই চলছে। গত ডিসেম্বরেও আমরা আবৃত্তি অনুষ্ঠান করেছি। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ রাত ১২ টায় আমরা ‘চেতনায় একুশ’ নামে একটি আবৃত্তি অনুষ্ঠান করে থাকি। ফেব্রুয়ারি মাসকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। সঠিক সময়ে আমাদের অনুষ্ঠান পরিচালিত হবে আশা করি।


আবৃত্তি সংসদের গতিশীলতা বৃদ্ধির ব্যাপারে নাভিদুল বলেন, আমাদের চেষ্টা রয়েছে এর চেয়ে আরো বেশি গতিশীল করার।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শাকিল আহমেদ বলেন, জবির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে আমাদের ডিবেটিং সোসাইটি সবচেয়ে বেশি গতিশীল। প্রতি সপ্তাহের রবি, মঙ্গল, ও বৃহস্পতিবার আমাদের পার্টিসিপেশন হয়ে থাকে। এছাড়া আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বির্তক প্রতিযোগিতায় আমরা অংশগ্রহণ করছি। আমাদের নিয়মিত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে।


উল্লেখ্য, জবির সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলোর মধ্যে রয়েছে- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচিত্র সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃতি সংসদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জবি শাখা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি। সবগুলো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনে অবস্থিত।


বিবার্তা/আদনান/নুর/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com