শিরোনাম
চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৭:৫৫
চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে চিকুনগুনিয়ার ব্যাপক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এক তথ্যমতে রাজধানীতে আক্রান্ত্রের সংখ্যা প্রতি ১১ জনে একজন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ও এর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চিকুনগুনিয়ার বিস্তার ও মহামারি রোধে বাকৃবিতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদীয় সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। এছাড়াও চিকুনগুনিয়া নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের গবেষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভেটেরিনারি অনুষদের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, চিকুনগুনিয়া বর্তমানে একটি জাতীয় সমস্যা। এ রোগ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ঠ আন্তরিকতার সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সকলকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং নিয়ন্ত্রণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।


সভায় বক্তারা বলেন, চিকুনগুনিয়ার বিস্তার রোধে এর বাহক এডিস মশার নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এডিস মশা স্থির পানিতে ডিম পাড়ে তাই বালতি, ফুলের টব, গাড়ির টায়ার, বাড়ির আশেপাশে প্রভৃতি স্থানে পানি জমতে না দেয়া, বর্ষার শুরুতে মশার আবাসস্থল নষ্ট করে দেয়া, জরুরী ভিত্তিতে মশা মারতে প্রয়োজনীয় কীটনাশক আক্রান্ত এলাকাগুলোতে মটরযানে বা হেলিকপ্টারে করে স্প্রে করাসহ বিভিন্ন উপায়ে মশা নিধনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া মশার ঋতুতে দেশজুড়ে মশার বিস্তারের একটি মানচিত্র তৈরি করা ও কোন এলাকায় কোন জাতের মশার প্রাদুর্ভাব বেশি তার একটি পরিষ্কার চিত্র থাকা প্রয়োজন বলে জানান বক্তারা। এতে করে মশার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সহজে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। মশা ও অন্য কীট নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি জেলায় স্থানীয় ইউনিট তৈরি করে সমন্বয়ের মাধ্যমে সারা বছর কার্যক্রম পরিচালনা করা ও রোগটি নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে পত্র-পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয়।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, চিকুনগুনিয়া বর্তমানে একটি জাতীয় সমস্যা। এ রোগ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ঠ আন্তরিকতার সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সকলকে এ রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং নিয়ন্ত্রণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।


বিবার্তা/শাহীন/মোয়াজ্জেম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com