ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় কাস্টমস কর্মকর্তা ও ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়েছেন মামলার বাদীও ঢাবি পরিবার গ্রুপের এডমিন মোতাকাব্বির খান প্রবাস।

মামলার বাদীহিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গ্রুপের এডমিন মুতাকাব্বির খান প্রবাস এবং সাক্ষী হিসেবে ঢাবি শিক্ষার্থী এসএম রাসেল এবং তৌহিদুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে জজ কোর্টে মানহানির আরেকটি মামলাও দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর আমজাদ আলী বিষয়টি তদারকি করছে বলে একাধিক শিক্ষার্থী নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে গত ২৫ অক্টোবর মামলার এজাহার কপি শাহবাগ থানায় জমা দেয় ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গ্রুপের এডমিন মুতাকাব্বির খান প্রবাস জানান, টানা ৮ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রম, বর্তমান-প্রাক্তন ঢাবিয়ানদের সার্বিক সমর্থন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সবুজ সংকেতের ফলে আমরা অবশেষে মামলার এজহার কপি শাহবাগ থানায় জমা দিতে সমর্থ হয়েছি। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় কিছু আইনি প্রক্রিয়ার কারণে সময় বেশি লেগেছে।

কাস্টমস কর্মকর্তা সুশান্ত পাল বিষয়টি নিষ্পতির জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টাস ও আইন মন্ত্রনালয়ে তদবিরের জন্য ছুটাছুটি করলেও সুবিধা করতে পারেননি বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

গত ১৮ অক্টোবর সকাল ১১ টায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ লেখা পোস্ট করেন ৩০তম বিসিএসের প্রথম সুশান্ত পাল। এর পরই ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তীব্র প্রতিবাদ আর ক্ষোভের মুখে পড়ে পোস্টটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেন সুশান্ত। পরে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোস্ট দেন কাস্টমসের এই কর্মকর্তা।

বিবার্তা/লাভলু/যুথি