নবীন ভর্তিচ্ছুদের পদচারণায় আবারো মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বিদ্যাপিঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো জায়গা শূন্য পরিমাণ ফাঁকা নেই বললেই চলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদধ্বনিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যেন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। পরীক্ষা দিতে এসে অনেকের হয়েছে নতুন অভিজ্ঞতা। হয়েছে নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হল এখন কানায় কানায় পূর্ণ।
দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে প্রতিটি আড্ডাস্থলের আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে আনন্দের বাণী। প্রতিটি সন্ধ্যা যেন এক ভিন্নরূপে আবির্ভাব হচ্ছে এখানকার শিক্ষার্থীদের।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, শাবাশ বাংলাদেশ চত্বর, টুকিটাকি চত্বর, ইবলিশ চত্বর, পশ্চিমপাড়াখ্যাত মেয়েদের হলগুলোর সামনে কোথাও যেন পা ফেলার জায়গা নেই। মিটিমিটি আলোর বৈদ্যুতিক বাতির নিচে শিক্ষার্থীদের মন উজাড় করা বাহারি গল্প যেন মন মাতিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যায় ভর্তিচ্ছুদের সাথে ক্যাম্পাসের মিষ্টি অভিজ্ঞতা বর্ণনায়।
ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে এখানকার ব্যবসায়ীদেরও আনন্দের কমতি নেই। কেননা বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষা দিতে আসায় এবং ক্যাম্পাসের হলগুলোতে অবস্থান করায় ব্যবসা ভালই জমে উঠেছে। বিশেষ করে খাবারের দোকান মালিকরা এই সুযোগটা বেশি করে কাজে লাগিয়েছে। অনেকে খাবারের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে দিয়ে একতরফাভাবে ব্যবসা করছে।
নবীনদের আগমনে ক্যাম্পাসের সার্বিক চিত্র আনন্দ আর উচ্ছাসে ভরে উঠলেও কিছু ক্ষেত্রে এখানকার অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটু বিপাকেই পড়তে হয়। থাকা-খাওয়াসহ পড়ালেখাতেই এর প্রভাবটা বেশি পড়ে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার, পশিচ্ছম পাড়া মেয়েদের হলের সামনে বসছে গানের আড্ডা। ভিড় জমাচ্ছেন ভর্তিচ্ছুরা। গান, কৌতুক আর আড্ডা বাজি শুনে মুগ্ধ হচ্ছেন অভিবাকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার মোট চার হাজার ৭১৩টি (কোটাসহ) আসনের বিপরীতে এক লাখ ৭৮ হাজার ৯৪৯টি আবেদন জমা পড়েছে। ফলে প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৮জন শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
এ বছর ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলছে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তার ব্যব্যস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেকোনো অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. মুজিবুল হক আজাদ বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রসহ যেকোনো অঘটন ঘটনা রোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর রয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েনেছেন।
বিবার্তা/নাঈম/জেমি/জিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]