
চাকরি দেওয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেজিস্ট্রার অফিসের এক নিম্নমান সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ১৫ জনকে চাকরি দেয়ার নামে ৫৮ লক্ষ টাকা গ্রহণ ও তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখায় কর্মরত নিম্নমান সহকারী মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ১৫ জনকে চাকরি দেয়ার নামে ৫৮ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) সংবিধির ১৫ (বি) ধারা অনুসারে তাকে (জনাব মো. এমরান হোসেন, নিম্নমান, রেজিস্ট্রার অফিস, জেনারেল শাখা, চ.বি.) ২৫ মার্চ হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী জীবিকা ভাতাদি পাবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে সে এই কাজটি করছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তদন্তের জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো আরও অনেক কালপ্রিট রয়েছে। আমরা তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনবো।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জেনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা নিয়োগ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। আগ্রহীদের থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হতো। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই নিয়োগ সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে স্বচ্ছ নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক আছে টাকা সংগ্রহ করে এমরান নামে একজন কর্মচারী। তিনি আগেও এ ধরনের নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলে আমরা জেনেছি। সুতরাং, কেউ যদি প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে আপনাদের কাছে টাকা চায় তাহলে আমাদের কাছে নিয়ে আসবেন। যোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণরা নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পাবে। কারো সাথে কোনো প্রকার লেনদেন করবেন না।
অভিযুক্তের মন্তব্য জানতে মো. এমরান হোসেনকে ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিবার্তা/মহসিন/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]