
২০২৪ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ২০৮ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, ওই পদগুলো খালি রাখার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, কোটা থাকা সত্ত্বেও নিয়াগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ১৮টি জেলার ২০৮ জন চাকরিপ্রার্থী এই রিট দায়ের করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিজিসহ তিনজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ২১টি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে আজকের ২০৮ জন রিট পিটিশনার আবেদন করে যথারীতি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের প্রকাশিত সার্কুলারের শর্ত (১০ নম্বর) এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা না মেনে শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান না করে কম সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করে। ওই নিয়োগের ফলে আজকের রিটকারীরা কোটা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হন। তাই তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে একই বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় রয়েছে। আমি আশা করি রুল জারি হয়ে এলে মামলাটি দ্রুত শুনানি হবে। আর আমার রিট পিটিশনারগণ ন্যায় বিচার পাবেন।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]