শিরোনাম
‘শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে’
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০১৭, ১৭:১৫
‘শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে’
জবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ‍‌বলেছেন, শিক্ষার সাথে সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটাতে হবে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম।


মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক সংগীত উৎসব ২০১৭’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


মন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তথা জগন্নাথ কলেজের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মাঝে শূন্যতা থাকলেও তা আবার নতুন উদ্যমে উজ্জীবিত হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, অন্ধকার মনে, অন্ধকারের শক্তি কাজ করে। দানবের সমাজ নয়, মানবের দেশ গড়তে হলে মনের আলো জ্বালাতে হবে। আর সেটার জন্য সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। মানবিক, মুক্তমনা, সহনশীল সমাজ গড়তে হলে সংস্কৃতি চর্চা জরুরি। সংগীত ও শিল্পকে অনুভব করার শক্তি, সংস্কৃতিকে মনে ধারণ করা শক্তিই হচ্ছে আলোকিত সমাজ গড়ার মূল মন্ত্র।


এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আগে ঢাকা বলতে বর্তমান পুরান ঢাকাকেই বুঝানো হতো। পুরান ঢাকাকে কেন্দ্র করেই প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল। বিভিন্ন কারণে পুরান ঢাকা সাংস্কৃতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে।


তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটতে শুরু করেছে। অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও অংশগ্রহণ করছে- যা গর্ব করার মত। সংগীত বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উৎসব আয়োজন করেছে, যা আমাদের জন্য বিরাট প্রাপ্তি।


সংগীত উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জবি সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, গীত উৎসব উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান।


‘সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানে ‘আনন্দধ্বণি জাগাও গগনে’ গানটি সম্মিলিতভাবে গাওয়ার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও উত্তরীয় পরানো হয় এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।



এদিকে, প্রথমদিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী শাহিন সামাদ, রবন্দ্রীসংগীত শিল্পী শামা রহমান, কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও লোক সংগীত শিল্পী সফি মন্ডল। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ১১ জন শিল্পী এবং চীন হতে আগত ৫ জন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।


এছাড়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল সমবেত গান, নজরুল গীতি, দেশাত্ববোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, চাকমা ভাষায় আঞ্চলিক গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ৮ জন শিক্ষার্থী বিশেষ নৃত্য পরিবেশনা করেন।


বিবার্তা/আদনান/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com